East Bengal FC: চলতি কলকাতা ফুটবল লিগে (CFL 2025-26) শুরু হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল এফসি-র (East Bengal FC) অভিযান। শুক্রবার মেসারার্স ক্লাবের বিরুদ্ধে তারা খেলতে নেমেছে। এই ম্য়াচটি নৈহাটি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথম ম্য়াচেই লাল-হলুদ ব্রিগেড দুর্দান্ত পারফরম্য়ান্স করেছে। মেসারার্স ক্লাবকে তারা ৭-১ গোলে পরাস্ত করেছে। মশালবাহিনীর হয়ে জোড়া গোল করেছেন জেসন টিকে।
East Bengal Transfer Update: যাবতীয় আলোচনা শেষ, দল ছাড়ছেন তারকা ফুটবলার? শোকের ঢেউ ইস্টবেঙ্গল শিবিরে
প্রথমার্ধে দাপুটে পারফরম্য়ান্স ইস্টবেঙ্গলের
মেসারার্স ক্লাবের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই চাপ তৈরি করেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। ২৩ মিনিটে লাল-হলুদের হয়ে গোলের দরজা খুলে দেন মনোতোষ মাঝি। ৩৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল সংখ্যা ডাবল করেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ২ মিনিটের মাথায় আবারও গোল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান বাড়ালেন ভানলালপেকা গুইতে। ম্য়াচের প্রথমার্ধে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার কারণে ইস্টবেঙ্গল এফসি বেশ স্বস্তিতেই মাঠ ছেড়েছিল।
East Bengal CFL Preview: ফের ময়দান কাঁপাতে নামছে ইস্টবেঙ্গল, CFL অভিযানের শুরুতেই লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ কে?
জ্বলে উঠল দ্বিতীয়ার্ধেও
এরপর আশা করা হয়েছিল, ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে মেসারার্স ক্লাব কিছুটা হলেও হয়ত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। কিন্তু, সেই দৃশ্য দেখতে পাওয়া গেল না। বরং আরও বেশি শক্তিতে জ্বলে উঠল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। ৪৮ মিনিটে লাল-হলুদ ব্রিগেডের হয়ে চতুর্থ গোলটি করলেন তন্ময় দাস। এরপর জোড়া গোল করলেন জেসন টিকে। প্রথমটা ৬৩ মিনিটে,আর দ্বিতীয়টা ৬৫ মিনিটে। ৬৯ মিনিটে মেসারার্স ক্লাবের হয়ে অন্তত একটা গোল পরিশোধ করেন অ্যান্ডি জাখারি। আর একেবারে গোধূলি লগ্নে মেসারার্সের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন সুমন দে। ৯০+৩ মিনিটে তিনি ম্যাচের অন্তিম গোলটা করলেন। জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ায়, ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের চোখে-মুখে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের ছাপ দেখতে পাওয়া গেল।
East Bengal Transfer Update: আর থামানো যাবে না ইস্টবেঙ্গলকে, দুর্ধর্ষ ফুটবলারকে নিতে ঝাঁপাল লাল-হলুদ শিবির
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, গত বছর কলকাতা ফুটবল লিগে কোন দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেই নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। আইনি জটিলতায় এখনও পর্যন্ত গোটা বিষয়টি আটকে রয়েছে। অনেকেই ইতিমধ্য়ে দাবি করেছেন যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চলতি মরশুমেও লাল-হলুদ ব্রিগেড যে সেই আগুন ফর্মটা ধরে রাখতে পেরেছে, তা বলাই বাহুল্য়। তবে আলাদা করে মেসারার্সের গোলকিপার লাইমুজাম কেন সিংয়ের কথা উল্লেখ করতেই হবে। শেষ ১০ মিনিট তিনি যেভাবে লড়াই করলেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। নাহলে ইস্টবেঙ্গলের গোল সংখ্যা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াত, তা কল্পনা করেই সকলে অবাক হচ্ছেন।