East Bengal Women Dominate the Opposition’s Box While the Men Struggle: এবারের আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের জঘন্য পারফরম্যান্স আর, তারপর বিদেশি দলগুলোর কাছে দেশ-বিদেশের মাটিতে নাকানিচোবানি খাওয়া। যে সব দেখে, লাল-হলুদ শিবিরের সমর্থকরাই ট্রফিহীন ক্লাব থেকে ক্রমশ বিমুখ হয়ে যাচ্ছেন। বাঙাল-ঘটির আবেগ আর তা নিয়ে উন্মাদনা বহু আগেই ক্ষয়িষ্ণু হয়ে গিয়েছিল। এখন প্রায় বিলীন। এই পরিস্থিতিতেও যাঁরা এখনও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতি আবেগ ধরে রেখেছেন, তাঁদের মুখ উজ্জ্বল করছেন এই ক্লাবের মেয়েরা।
সোমবারও ইস্টবেঙ্গল মহিলা ফুটবল দল কল্যাণী স্টেডিয়ামে হপস এফসিকে ৬-১ গোলে হারিয়েছে। আর, এর ফলে ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগ (আইডব্লিউএল) ২০২৪-২৫-এর শিরোপা জয়ের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গেল লাল-হলুদের মহিলা ব্রিগেড। ওই ম্যাচে প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। দ্বিতীয়ার্ধেও তারা আধিপত্য বজায় রেখে আরও ৩ গোল দেয় হপস এফসিকে। যার সুবাদে লিগের পয়েন্ট টেবিলে ইস্টবেঙ্গল মহিলা দল ১১ ম্যাচে সংগ্রহ করেছে ৩০ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন- সুপার কাপের আগেই ইস্টবেঙ্গলে থাংবই, এখনই শুরু আগামী মরশুমের পরিকল্পনা!
সবচেয়ে বড় কথা, ইস্টবেঙ্গল পুরুষ সিনিয়র দলে যেমন গোল করার লোকের অভাব, মহিলা দলের পরিস্থিতি ঠিক তার উলটো। সোমবারের ম্যাচে লাল-হলুদ বাহিনীর ছয় খেলোয়াড় গোল করেছেন। ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করেন সৌম্যা গুগুলোথ, ৭ মিনিটের মাথায় সন্ধ্যা রঙ্গনাথন, ১১ মিনিটের মাথায় মৌরিন আচিয়েং, ৫৪ মিনিটের মাথায় কর্থিকা আঙ্গামুথু, ৯২ মিনিটের মাথায় রেস্টি নানজিরি, ৯৩ মিনিটের মাথায় এলশাদ্দাই আচেমপং গোল করেছেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। হপস এফসির হয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন গ্ল্যাডিস আমফোবিয়া। তা-ও ম্যাচের ৫৮ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে তিনি ওই গোল করেছেন।
আরও পড়ুন- প্রভসিমরন সিং, শ্রেয়স আইয়ার ও নেহাল ওয়াধেরা’র দুরন্ত ব্যাটিং, লখনউকে ৮ উইকেটে হারাল পঞ্জাব
দলের এই পারফরম্যান্সে যথারীতি খুশি ইস্টবেঙ্গল কোচ। তিনি জানিয়েছেন, 'আমাদের মেয়েরা জেতার জন্য সবসময় মুখিয়ে থাকছে। লাল-হলুদ বারবার করে জিতুক।' কোচের এই আত্মবিশ্বাস এবং দলের মেয়েদের প্রতি আস্থা আসলে গোটা ইস্টবেঙ্গল শিবিরের প্রতিফলন। যখন ছেলেদের বাজে পারফরম্যান্সের জন্য ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁকে কার্যত মুখ লুকোতে হচ্ছে, তখন ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরাই দেখিয়ে দিচ্ছেন যে চেষ্টা থাকলে উপায় হয়। লাল-হলুদ শিবিরের মেয়েদের এই পারফরম্যান্সে হাজারো যন্ত্রণার মধ্যে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও।