ইতালি: ১ (৪) (চিয়েসা)
স্পেন: ১ (২) (মোরাতা)
পারল না স্পেন। ইতালির কাছে পেনাল্টি শ্যুট আউটে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই ছিটকে গেল লা রোহারা। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে খেলা অমীমাংসিত থাকার পরে টাইব্রেকারে ঠান্ডা মাথায় শেষ হাসি হাসে ইতালি।
স্পেনের হারে খলনায়ক সেই মোরাতা। দলের অন্যতম অভিজ্ঞ তারকা হয়েও ইতালি গোলকিপার জিয়ানুইজি দোনারুম্মাকে পরাস্ত করতে পারলেন না। তাঁর শট আটকে দেন দোনারুম্মা। তারপরে দানি ওলমো নিজের শট বাইরে পাঠিয়ে দেন। এরপরে ইতালির জর্জিনহো ঠান্ডা মাথায় উনাই সিমনকে পেরিয়ে বল জালে জড়িয়ে দলের ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করেন।
আরো পড়ুন: বেলজিয়ামকে হারিয়ে শেষ চারে ইতালি! দুরন্ত আজ্জুরিদের সামনে উড়ে গেল একনম্বররা
তার আগে ইতালির লোকাতেল্লি টাইব্রেকারে গোল করতে পারেননি। তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন উনাই সিমন। তবে স্পেনের জোড়া মিস ইতালিকে ইউরোর ফাইনালে পৌঁছে দেয়।
নির্ধারিত সময়ে গোল করে প্রথমে এগিয়ে যায় ইতালিই। কাউন্টার এটাকের নিখুঁত নিদর্শন তুলে গোল আসে ইতালির। স্পেনের ক্রশ আটকে দিয়েছিলেন দোনারুম্মা। তারপরেই পাল্টা আক্রমণের ঝড় তুলে দুর্ধর্ষ বাঁকানো শটে গোল করে যান ফ্রেডরিকো চিয়েসা। ম্যাচের বয়স তখন ঠিক একঘন্টা।
লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ইতালি। প্রথম গোলের ঠিক ১০ মিনিট পরে স্পেনের হয়ে সমতা ফিরিয়ে দেন মোরাতা। ওলমোর সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে বক্সের বটম কর্ণার গোল করে যান মোরাতা।
আরো পড়ুন: একটাও গোল না করে সেমিফাইনালে স্পেন! সুইস প্রাচীরে ধাক্কা খেয়েও জয়
বাকি সময়ে স্পেন দাপটে খেললেও গোল করতে পারেনি। এরপরে খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে স্পেন প্রাধান্য নিয়ে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে যায়। তবে গোলটাই করতে পারেনি এনরিকের দল।
২০০৮-এ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালি পেনাল্টি শ্যুট আউটে হেরে বসেছিল স্পেনের কাছে। ২০১২-য় স্পেনের কাছেই ইউরোর ফাইনালে হারতে হয়েছিল আজ্জুরিদের। বুধবারের জয়ে জোড়া হারের প্রতিশোধ নিয়ে মাঠ ছাড়ল ইতালি। সবমিলিয়ে ইউরোর প্রাঙ্গণে টানা দুটো ম্যাচ ইতালি জিতল স্পেনের বিরুদ্ধে। ২০১৬-র ইউরোর প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালি জয়লাভ করেছিল ২-০ গোলে স্পেনকে উড়িয়ে।
করোনা অতিমারীর ভয়কে উড়িয়ে ওয়েম্বলিতে দুই শক্তিশালী দলের মহারণ দেখতে হাজির ছিল ৬০ হাজার দর্শক। আর ওয়েম্বলিতে শেষ চারের যুদ্ধে হেরে স্প্যানিশ অধিনায়ক সের্জিও বুসকেতস জানিয়ে দিলেন, "এদিন নয়, খেতাব জিতে রবিবার টুর্নামেন্ট ফিনিশ করতে চেয়েছিলাম। খারাপ লাগছে। এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। এটাই অবশ্য ফুটবল। দল দারুণ খেলেছে। সুযোগ পেয়েছে। খেলাও নিয়ন্ত্রণ করেছি আমরা। গর্বের সঙ্গেই বিদায় নিচ্ছি আমরা। পেনাল্টি শ্যুট আউট ব্যাপারটাই এরকম। সবাই ইতালিকে ফেভারিট ধরেছিল। তবে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, ওদের থেকেও আমরা ভালো খেলতে পারি। হারার কথা ছিল না আমাদের।"
ইতালির গোলদাতা চিয়েসা আবার জানিয়েছেন, "স্পেন দারুণ খেলেছে। ওদের দলে অনেক তারকা আছে। তবে আমরাও শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। লোকাতেল্লি টাইব্রেকার মিস করলেও আমরা শান্ত ছিলাম। জানতাম আমরা পারব। সেটাই হয়েছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন