FIFA CWC 2025 PSG vs Inter Miami: প্রাক্তন ক্লাবের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোটেও সুখকর হল না লিওনেল মেসির (Lionel Messi)। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ৩ বছর বাদে মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রাক্তন ক্লাব প্যারিস সাঁ জার্মেঁই-এর (PSG)। কিন্তু ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের (FIFA Club World Cup 2025) শেষ ষোলোর ম্যাচে রীতিমতো মেসির দল ইন্টার মায়ামিকে নিয়ে ছেলেখেলা করল প্যারিস। আর এই ম্যাচে জোড়া গোল করলেন মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগিজ সতীর্থ জোয়াও নেভেস। ইন্টার মায়ামিকে ৪ গোলের মালা পরিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল পিএসজি। আর লজ্জার হারে হতাশা গ্রাস করল মেসিকে।
ধারে-ভারে এই ম্যাচে আগে থেকেই এগিয়ে ছিল ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনো এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে মেসির দলকে সুযোগ দিয়েছিলেন খেলার। ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার জন্য যে যোগ্যতা দরকার তা না থাকলেও স্রেফ মেসির জন্যই ইন্টার মায়ামিকে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। গোটা টুর্নামেন্টে একটিই মাত্র ম্যাচ জিতেছে মায়ামি। পোর্তোর বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয়। বাকি আল-আহলি এবং পামেইরাসের বিরুদ্ধে ড্র করে পয়েন্টের নিরিখে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় যায় ইন্টার মায়ামি।
আরও পড়ুন মোহনবাগানের মুখের গ্রাস কাড়ল ইস্টবেঙ্গল, মেসির দেশের তারকা এবার লাল-হলুদের পথে
কিন্তু নক আউট পর্বের শুরুতেই লজ্জার হার পেল ইন্টার মায়ামি। সেইসঙ্গে ক্লাব বিশ্বকাপ থেকেও ছুটি হয়ে গেল মেসিদের। এদিন ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যায় পিএসজি। গোল করেন পর্তুগাল তারকা জোয়াও নেভেস। তার পর একের পর এক আক্রমণে রীতিমতো কেঁপে যায় মায়ামির ডিফেন্স। বুসকেটস, আলাবারা দিশাহারা হয়ে যাচ্ছিলেন লাগাতার পিএসজির আক্রমণে। প্রথমার্ধে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন মেসি-সুয়ারেজ জুটি। প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। সেখান থেকে এই ম্যাচে ফিরে আসা কার্যত অসম্ভব ছিল মেসিদের। প্রথমার্ধে জোয়াও নেভেস দুটি গোল করেন, আর একটি হাকিমি এবং একটি আত্মঘাতী গোল এভিলিসের।
আরও পড়ুন দুরন্ত পারফরম্য়ান্স ভিনিশিয়াস জুনিয়রের, বিশ্বকাপের শেষ ১৬-য় রিয়াল মাদ্রিদ
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা জ্বলে ওঠে মায়ামি। মেসি এবার ভেলকি দেখাতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁর পায়ে বল গেলেই পিএসজি-র দু-তিনজন ফুটবলার ঘিরে ধরছিলেন মেসিকে। সেভাবে পায়ের জাদু দেখাতে পারছিলেন না এলএম টেন। দ্বিতীয়ার্ধে একটি দুর্দান গোলমুখী পাস বাড়িয়েছিলেন সুয়ারেজকে। কিন্তু বয়সের ভারে আগের সেই ধার হারিয়েছেন সুয়ারেজ। বক্সের মধ্যে সেই ক্ষিপ্রতা উধাও। যথারীতি সুযোগ নষ্ট করেন সুয়ারেজ। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল মায়ামি। কিন্তু ভাগ্য এবং সতীর্থ সাথ দেয়নি মেসিকে। টার্গেটে একটি শট এবং একটি হেডার রাখেন মেসি। দুটোই বাঁচান পিএসজির গোলকিপার দোনারুমা। শেষপর্যন্ত খালি হাতেই ফিরতে হল মেসিদের। ক্লাব বিশ্বকাপ অভিযানও শেষ হয়ে গেল ইন্টার মায়ামির।