Fifa World Cup 2018 Spain vs Portugal: আর ঘণ্টাকয়েকের অপেক্ষা। তারপরেই বিশ্বকাপের প্রথম বড় ম্যাচ। ইউরোপের দুই শক্তিশালী দেশ পর্তুগাল এবং স্পেন সন্মুখ সমরে। ভারতীয় সময় রাত সাড়ে এগারোটায় সোচির ফিস্ত অলিম্পিক স্টেডিয়ামে হেভিওয়েট মহারণে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বনাম আন্দ্রে ইনিয়েস্তা। রিয়ালের এক ঝাঁক ফুটবলারকে নিয়েই বিশ্বকাপের দল সাজিয়েছে স্পেন। যারা সারা বছরই সিআর সেভেনের সঙ্গে খেলেন। আজ তাঁরাই মাঠে নামবেন সিআর সেভেনের দৌড় থামাতে। এ এক অন্যরকম দৃশ্য। ক্লাবের সতীর্থরাই দেশীয় প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার গল্প।
প্রথমেই আসা যাক প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের কথায়। এবারও অন্যতম ফেভারিট তারা। স্পেন কিন্তু বিশ্বকাপের আগেই রীতিমতো বিপাকে। দলের অন্দরমহলে উঠে গিয়েছে ঝড়। বিক্ষুব্ধ দলের মহাতারকা সের্জিও র্যামোস। গত মঙ্গলবার স্পেনের কোচ হুলেন লোপেটেগির রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব নেওয়ার খবর প্রকাশ পেতেই তাঁর চাকরি চলে যায়। আর ঠিক তার পরের দিনই স্পেনের ডিরেক্টর অফ ফুটবলের পদে থাকা ফার্নান্দো হিয়েরোকে ইনিয়েস্তাদের মাথায় কোচ করে বসিয়ে দেয় স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।
আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2018: বিশ্বকাপের নতুন সদস্য VAR, জেনে নিন এর খুঁটিনাটি
পর্তুগাল শিবিরে চোট-আঘাতের কোন খবর নেই। কিন্তু স্পেনের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ বাছতেই কিছুটা বিপাকে পড়েছেন ইউরো কাপ জয়ী কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। হোসে ফন্তে ও ব্রুনো আলভেসের সঙ্গে রক্ষণে থাকবেন পেপে। অন্যদিকে রোনাল্ডোর সঙ্গে আক্রমণ ভাগে আন্দ্রে সিলভা ও গনসালো গুয়েদেসের মধ্যেই কেউ একজন। এদিকে আবার প্র্যাকটিসে ফিরেছেন ড্যানি কার্ভাহাল। যেটা স্পেনের পক্ষে স্বস্তির খবর। কিন্তু হ্যামস্ট্রিং চোটের জন্য তাঁকে নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। কার্ভাহালের পরিবর্তে সম্ভবত আলভারো ওদরিজোলাকে খেলাবেন হিয়েরো।
এবার জেনে নেওয়া যাক স্পেন-পর্তুগাল নিয়ে কিছু অজানা তথ্য
স্পেন এবং পর্তুগাল এখন পর্যন্ত ৩৫ বার মুখোমুখি হয়েছে। স্পেন জিতেছে ১৬ বার, পর্তুগাল ছ’বার। ১৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
বিশ্বকাপের আসরে এখন পর্যন্ত দু’দল একবারই মুখোমুখি হয়েছে। ২০১০-এ স্পেন ১-০ জিতে শেষ ষোলোতে উঠে বিশ্বকাপেও নিজেদের নাম লিখিয়েছিল।
দু’দলে মোট ৪৩ জন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ফুটবলার আছেন। এঁদের মধ্যে ৩৪ জনই স্পেনের। পর্তুগালের মাত্র ন’জন।
পর্তুগাল এবার বিশ্বকাপ জিততে পারলে ব্যাক-টু-ব্যাক ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বিশ্বকাপ বিজয়ীর তালিকায় চতুর্থতম দেশ হবে। এর আগে পশ্চিম জার্মানি (ইউরো ১৯৭২, বিশ্বকাপ ১৯৭৪), ফ্রান্স (বিশ্বকাপ ১৯৯৮, ইউরো ২০০০), এবং স্পেনের (ইউরো ২০০৮, বিশ্বকাপ ২০১০) এই রেকর্ড রয়েছে।
পর্তুগাল বিশ্বকাপের শেষ ন’টি গ্র্প পর্যায়ের ম্যাচে একবারই হেরেছে। ২০১৪-তে জার্মানি চার গোল দিয়েছিল তাদের।
পর্তুগালের কোচ স্যান্টোস কোচিং কেরিয়ারে তিনটি মেজর টুর্নামেন্টেরই নকআউটে উঠেছেন। গ্রিসকে ২০১২-তে ইউরোর শেষ আটে এবং ২০১৪ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে নিয়ে যান, ২০১৬-তে পর্তুগালকে ইউরো জেতান।
বিশ্বকাপে পর্তুগালের করা ৪৩টি গোলের মধ্যে একমাত্র একটি গোলই পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে হয়েছে।
আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2018, Russia vs Saudi Arabia: হাই ফাইভ, রাশিয়া!
শেষ চারটি বিশ্বকাপেই স্পেন গ্রুপ শীর্ষে থেকেই পরের রাউন্ডে গিয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে ১২ বারের মধ্যে দু’বার জিতেছে তারা। সাতটি হার এবং তিনটি ড্র রয়েছে।
টানা ১১ বার বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করার নজির রয়েছে স্পেনের। এটাই তাদের বিশ্বকাপে দীর্ঘতম অংশগ্রহণের নজির।
১৯৯৩ থেকে বিশ্বকাপের একটি কোয়ালিফায়ারেও হারেনি স্পেন। কিন্তু গ্র্প পর্যায়ের শেষ ছ’টি ম্যাচের মধ্যে তিনটিই হেরেছে।
বিশ্বকাপে স্পেনের শেষ ১৪টি ম্যাচের একটিও ড্র হয়নি - তারা দশবার জিতেছে, চারবার হেরেছে
বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড এবং জার্মানির মতই স্পেনও ইউরোপিয়ান কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে শেষ দশের মধ্যে ন’টি জিতেছে।
২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী স্পেন দলের হাফ ডজন ফুটবলার রয়েছেন এবারের দলে। তাঁরা হলেন দাভিদ সিলভা, সের্জিও র্যামোস, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা. পেপে রেইনা, সের্জিও বাসকোয়েটস এবং জেরার্ড পিকে।