New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/27/WhLz8Aaasr7Bvhzo5DZX.jpg)
নয়া মরশুমের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা
East Bengal FC: আগামী মরশুমে সাফল্য ছাড়া আর কিছুই ভাবছে না ইস্টবেঙ্গল এফসি। আর সেকারণেই তারা জোরকদমে দলগঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে। বেশ কয়েকজন ভারতীয় ফুটবলারকেও টার্গেট করেছে তারা।
নয়া মরশুমের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা
East Bengal FC: ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL 2025-26) সাফল্য পেতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল এফসি। এই টুর্নামেন্টে লাল-হলুদ ব্রিগেড এখনও পর্যন্ত নজর কাড়তে পারেনি। ইতিমধ্যে আগামী মরশুমের জন্য দলগঠনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকজন ভারতীয় ফুটবলারকেও টার্গেট করেছে তারা। সেই তালিকায় রয়েছেন মেহতাব সিং, অভিষেক টেকচাম সিংয়ের মতো ফুটবলাররা। অথচ একটা সময় যে ভারতীয় ফুটবলারকে 'ঘরের ছেলে' বলত ইস্টবেঙ্গল, আজ তাঁর দিকে কার্যত ফিরেও তাকান না দলের কর্তারা! কে সেই ফুটবলার? এখন কীই বা করছেন? আসুন, সেই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করে নেওয়া যাক।
আজ আমরা আলোচনা করব বিদ্যাসাগর সিংকে নিয়ে। কয়েকবছর আগে পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে তিনি যথেষ্ট পরিচিত একটা নাম ছিলেন। লাল-হলুদের অনূর্ধ্ব ১৮ স্কোয়াড থেকে উঠে এসেছিলে। একটা সময় তাঁর মার্কেট ভ্যালু ছিল ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কিন্তু, সেই অঙ্কটা ক্রমশ নামতে নামতে বর্তমানে ২০ লাখ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা ফুটবল লিগে তিনি ভবানীপুর এফসি ক্লাবে নিজের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন।
একটা সময় কলকাতা ফুটবল লিগে ইস্টবেঙ্গলের 'মধ্যমণি' হয়ে উঠেছিলেন বিদ্যাসাগর সিং। সেই সুবাদে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দলগুলোও তাঁকে সই করানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল। কিন্তু, আইএসএল টুর্নামেন্টে বিদেশি স্ট্রাইকারদের রাজত্বে বিদ্যাসাগর নিজের প্রভাব খুব বেশি বিস্তার করতে পারেননি। ক্রমশ বিস্মৃতির ধুলোয় ঢাকা পড়েছে তাঁর পারফরম্য়ান্স।
East Bengal FC News: মেসিকে ছেড়ে আদৌ ঠিক করল ইস্টবেঙ্গল? কর্তাদের সিদ্ধান্তে একাধিক প্রশ্ন
বিদ্যাসাগরের যে দক্ষতা সকলের নজর কেড়েছিল, সেটা হল তাঁর গতি। সঙ্গে ছিল ফিনিশিং দক্ষতাও। মাঝমাঠে বল পেলে তিনি বিপক্ষের যে কোনও ডিফেন্ডারকে গতির জোরে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারতেন। আর এই গতির কারণে বিপক্ষের গোলকিপাররাও মাঝেমধ্যে ভুল করে বক্সের বাইরে বেরিয়ে আসতেন। এরপর ইনসাইড-আউটসাইড করে যেভাবে বিদ্যাসাগর বিপক্ষের দূর্গে ঢুকে পড়তেন, তাতে তাঁর সামনে গোল করার রাস্তা অনেকটাই মসৃণ হয়ে যেত।
East Bengal New Footballer: গোটা মরশুমে জঘন্য পারফরম্যান্স, ৩ তারকা বিদেশিকে তাড়িয়েই দিল ইস্টবেঙ্গল
ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব-১৮ দল থেকে বিদ্যাসাগর লাল-হলুদের মূল দলে নাম লেখাল। সেখান থেকে এল ট্রাউ এফসি-তে। এরপর পারফরম্য়ান্স করেছে বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়েও। এরপর লোন ট্রান্সফারে বেঙ্গালুরু থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন কেরালা ব্লাস্টার্সে। সবশেষে পঞ্জাব এফসি এবং ইন্টার কাশীতেও যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও ক্লাবেই তিনি পায়ের নীচের জমি শক্ত করতে পারেননি।
কেন কোনও ক্লাবেই পায়ের নীচের জমি শক্ত করতে পারলেন না বিদ্যাসাগর সিং? কারণ একটাই। পর্যাপ্ত সময়ের অভাব। ট্রাউ এফসি বিদ্যাসাগরকে যে সুযোগটা দিয়েছিল, সেটার সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার তিনি করেছিলেন। ১২ গোল করে আই-লিগের সর্বাধিক গোল স্কোরার হয়েছিলেন। জিতেছিলেন সোনার বুটও। কিন্তু, বিদেশি স্ট্রাইকারদের চাপে এই ভারতীয় ফুটবলার বাকি দলগুলোয় খেলার জন্য পর্যাপ্ত সময়ই পেলেন না।
East Bengal News Update: কীভাবে হবে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি? সহজ উপায় জানালেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা
এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একাংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, বিদ্যাসাগরকে কি আরও একবার দলে ফিরিয়ে নেওয়া যেত না? আরও একবার পরখ করা যেত না ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আঙিনায়? অস্কার ব্রুজোঁর স্ট্র্যাটেজিতে কি নিজেকে ফিট করতে পারতেন না বিদ্যাসাগর? প্রশ্ন অনেক, উত্তর আপাতত অজানা।