Vinod Kambli wasted money like water: ভারতীয় ক্রিকেট দলের একসময়ের তারকা ব্যাটসম্যান বিনোদ কাম্বলি (Vinod Kambli) আজ দারুণ আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার ও ইয়র্কশায়ারের ক্লাব দলের সতীর্থ নয়ের দশকে কাম্বলির কাউন্টি ক্রিকেটের দিনগুলোর কিছু গল্প ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখনও অনেকেই বিনোদ কাম্বলিকে ভালবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে করেন, তবে তাঁর দুর্দান্ত প্রতিভা আর আত্মবিশ্বাসের কথা অনেকেই আজও বিশ্বাস করতে পারেন না। তখন শচীন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) ইয়র্কশায়ারে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে আসা প্রথম ভারতীয় ছিলেন। শচীনের ছোটবেলার বন্ধু কাম্বলি তাঁর সঙ্গেই সেখানে গিয়েছিলেন এবং পাশের এক ক্লাব টিমে খেলতে নামেন।
কাম্বলির বন্ধু নাসা হুসেন ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-কে বলেন, “একজন দক্ষিণ এশীয় হিসেবে শচীনের ইয়র্কশায়ারে খেলা বিশাল খবর ছিল। তবে আরও বড় খবর ছিল যে, সে তাঁর বন্ধু বিনোদ কাম্বলিকে নিয়ে এসেছিল, যে আমাদের লিগে খেলেছিল। আমি এর আগে কখনও এমন কাউকে দেখিনি যে বলকে এত জোরে পেটাতে পারে।’’
আরও পড়ুন লাখ-লাখ টাকা খোরপোশ দিতে হবে স্ত্রী হাসিনকে, মাথায় হাত মহম্মদ সামির
“ও একেবারে পিচের দিকে ছুটে আসত আর প্রথম বলেই ছয় মারত, আর আমরা ভাবতাম, ‘ঠিক আছে’। ভারত থেকে আসা এক তরুণ, যার নাম কেউ শোনেনি, দেখা হয়নি, আর সে এসে পুরো ধামাকা করে দিত। পরে সে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টানা দু’টো ডাবল সেঞ্চুরি করেছিল। ওর মধ্যে কী প্রতিভা ছিল! আজকের দিনে হলে সেই ছেলে কোটি কোটি টাকার মালিক হত।”
কাম্বলির কিছু বন্ধু এখনও তাঁর খোঁজখবর নেন। তাঁর মদ্যপানের সমস্যা আর বারবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর শুনে তাঁরা দুশ্চিন্তায়। তাঁরা মনে করেন, কাম্বলি কখনও টাকার হিসাব রাখতে পারতেন না।
একজন অন্য সতীর্থ বলেন, “একদিন আমরা সবাই একসঙ্গে বসেছিলাম, ১০ জন ক্রিকেটার ছিলাম। বিনোদ আর শচীন ছাড়া বাকি সবাই কোনও না কোনও পার্ট-টাইম চাকরি করত। তখন মুম্বাইয়ের এক ক্রিকেটার বিনোদকে বলল, ‘যেহেতু তুমি প্রতি ম্যাচে মাত্র ২৫ পাউন্ড পাচ্ছ, কোথাও পার্টটাইম কাজ করে নাও না?’ কাম্বলি এক সেকেন্ডও না ভেবে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিয়েছিল, ‘আমি আর শচীন টেস্ট ক্রিকেট খেলেই টাকা রোজগার করব, পার্টটাইম কাজ করে মনোযোগ নষ্ট করতে চাই না।’ কী অসাধারণ আত্মবিশ্বাস! তখনও ওঁ টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে একেবারেই প্রতিষ্ঠিত নয়, তবুও ওর আত্মবিশ্বাস ছিল আকাশচুম্বী।”
আরও পড়ুন বলিউড নায়িকা-পাক ক্রিকেটারের রূপকথার বিয়ে, ধর্মীয় বিভেদেই শেষপর্যন্ত বিচ্ছেদ দুই তারকার?
পরে সলি অ্যাডাম নামে এক লেখক নিজের বইতে কাম্বলিকে একটি অধ্যায় উৎসর্গ করে লিখেছিলেন, “যখন কাম্বলি ভারত ফিরে যায়, তখন বাবার কাছ থেকে সব টাকা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে উড়িয়ে দেয়। কাম্বলির কখনও টাকার প্রতি কোনও যত্ন ছিল না, কোনও জিনিসের প্রতিও ওর সম্মান ছিল না।”