/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/01/mohammed-shami-and-hasin-jahan-2025-07-01-21-57-26.jpg)
মহম্মদ সামি এবং হাসিন জাহান
Mohammed Shami and Hasin Jahan: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বড়সড় ধাক্কা খেলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের পেস তারকা মহম্মদ সামি। আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতি মাসে খোরপোশ বাবদ স্ত্রী হাসিন জাহানকে একটা মোটা অঙ্কের দিতে হবে। পাশাপাশি মেয়েকে বড় করে তোলার জন্যও দিতে হবে একটা আলাদা টাকা। এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা কার্যত হতবাক হয়েছেন।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, হাসিন জাহানকে প্রতি মাসে ৪ লাখ টাকা করে খোরপোশ দিতে হবে এই তারকা ক্রিকেটারকে। এরমধ্যে স্ত্রী'র জন্য় মাসিক খরচ বাবদ দেড় লাখ টাকা করে দিতে হবে। অন্যদিকে, মেয়ের পড়াশোনা এবং অন্যান্য খরচ বাবদ দিতে হবে আড়াই লাখ টাকা। সামির আয়ের কথা মাথায় রেখেই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Hardik Pandya Divorce: হার্দিক আজও আমার পরিবার, ডিভোর্সের পরও কেন একথা বললেন নাতাশা?
মাসে ৭ লাখ টাকা খোরপোশের দাবি করেছিলেন হাসিন
যদিও ২০১৮ সালে যখন মহম্মদ সামির থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখনই হাসিন জাহান দাবি করেছিলেন যে তাঁকে প্রতি মাসে খোরপোশ বাবদ সাত লাখ টাকা করে দিতে হবে। পাশাপাশি মেয়ের পড়াশোনার জন্য আরও মাসিক তিন লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। অর্থাৎ, প্রতি মাসে সামির থেকে ১০ লাখ টাকা খোরপোশ দাবি করেছিলেন হাসিন। কিন্তু, আদালতে তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। কারণ, হাসিন যেহেতু মডেলিং থেকে নিজে উপার্জন করেন, সেকারণে সামিকে কোনও খোরপোশ দিতে হবে না বলে জানিয়ে দেয় আদালত।
আদলতের সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন হাসিন জাহান। প্রথমে আলিপুর আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় মহম্মদ স্বামী তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন জাহানকে প্রতি মাসের খরচ বাবদ ৮০ হাজার টাকা করে দেবেন। পরে অবশ্য জেলা জজ সেই নির্দেশ সংশোধন করেন। সংশোধিত রায়ে বলা হয়, স্ত্রী'র জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা এবং মেয়ের জন্য ৮০ হাজার টাকা দিতে হবে। কিন্তু, এই রায়ও মানতে পারেননি হাসিন। অবশেষে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
কলকাতা হাইকোর্টে হাসিন আবেদন করেন যে তাঁর স্বামী বছরে প্রায় ৭ কোটি টাকা উপার্জন করেন। অর্থাৎ প্রতি মাসে উপার্জন দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৫৯ লাখ টাকা। এই কারণেই তিনি নিজের খরচ হিসেবে মাসিক ৭ লাখ টাকা করে দাবি করেছিলেন। যদিও সেই টাকা সামি দিচ্ছেন না বলেই অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে মঙ্গলবার (১ জুলাই) আদালত রায়ে খোরপোশ দেওয়ার ব্যাপারে সিলমোহর পড়ে গেল।