১০ বছর পর আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ফিরেছে করাচির ন্য়াশনাল স্টেডিয়ামে। দেখতে গেলে দীর্ঘদিন পর ফের খেলা হচ্ছে পাকিস্তানে। নিরাপত্তাজনিত কারণে শ্রীলঙ্কা দলও প্রথমে পাকিস্তানে খেলতে যেতে চায়নি। পিসিবি-র পক্ষ থেকে দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রিকেটারদের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পরেই লাহিরু থিরিমানেরা রাজি হয়েছেন সরফরাজ আহমেদদের সঙ্গে খেলতে।
-->
এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের জন্য পাকিস্তান রাষ্ট্রপতির পর্যায় নিরাপত্তা দিচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে করাচিতে কারফিউ জারি হয়েছে। পাকিস্তানেরই এক বাসিন্দা টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার টিম বাস যে কনভয়ের মধ্য়ে দিয়ে স্টেডিয়ামে যাচ্ছে সেখানে প্রায় ৩০টি-র ওপর গাড়ি রয়েছে। অধিকাংশই সাঁজোয়া যান তার মধ্যে। বিজেপি-র সাংসদ ও দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর নিজের টুইটারে এই ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, "ইতনা কাশ্মীর কিয়া, কে করাচি ভুল গয়ে"। বাংলায় যার তর্জমা করলে দাঁড়ায়, পাকিস্তান এত কাশ্মীর নিয়ে কথা বলছে যে, করাচিই ভুলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রতিবাদ আফ্রিদির, পাল্টা দিলেন গম্ভীর
-->
এই মুহূর্তে তিন ম্যাচের ওয়ান-ডে সিরিজ খেলার জন্য় শ্রীলঙ্কা রয়েছে করাচিতে। এরপর তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে তারা লাহোরে যাবে। ২০০৯ সালে জঙ্গি হামলার ঘটনা এখনও টাটকা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের মনে। সেবার পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন ছিল। লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে শ্রীলঙ্কার টিম বাসের ওপর সন্ত্রাস হামলা চলেছিল। ছ’জন ক্রিকেটার আহত হয়েছিলেন। প্রাণ হারান ছ’জন নিরাপত্তারক্ষীও। এমনকী দু’জন পথ চলতি মানুষেরও প্রাণ গিয়েছিল। এই ঘটনার পর টানা ছ’বছর পাকিস্তানে কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আসর বসেনি। তাদের সমস্ত হোম ম্য়াচ হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। সম্প্রতি জিম্বাবোয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেদেশে খেলে গিয়েছে।