১৩ বছর বয়সে বাবা মারা গিয়েছেন। তাই জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট সেঞ্চুরি বাবাকেই উৎসর্গ করলেন হনুমা বিহারী। স্কোরবোর্ডে ৪১৪ তুলে অলআউট। আর ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের সামনে বিশাল রানের পাহাড় চাপিয়ে দেওয়া নেপথ্য়ে হনুমা বিহারী। তাঁর ১১১ রানের সৌজন্যেই দ্বিতীয় দিনেও ব্য়াটিংয়ে রাজত্ব করল টিম ইন্ডিয়া। দিনের শেষে বিহারী বলে দিলেন, "আমার যখন ১২ বছর বয়স ছিল, সেসময় বাবা মারা গিয়েছিলেন। সেদিন থেকেই প্রতিশ্রুতি রেখেছিলাম নিজের কাছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি বাবাকেই উৎসর্গ করব।"
পাশাপাশি হনুমা বিহারীর সংযোজন, "আজকের দিনটা আমার কাছে ভীষণই আবেগের। বাবা যেখানেই থাকুন না কেন, আমি যা করেছি, তার জন্য নিশ্চয় গর্বিত হবেন।"
বিহারী নিজের কেরিয়ারের সেরা ১১১ রানের অধিকাংশ করেছেন টেল এন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে। প্রথম দিন ভারত শেষ করেছিল ২৬৪/৫ স্কোরে। দ্বিতীয় দিনে বেশিক্ষণ টানতে পারেননি ঋষভ পন্থ। প্রথম দিনের স্কোরেই আউট হয়ে যান ঋষভ পন্থ। জাদেজাও বিহারীকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ক্রিজে। মাত্র ১৬ রান করে বিদায় নেন তারকা অলরাউন্ডার।
A round of applause ???????? from the Indian dressing room as #TeamIndia batsman @Hanumavihari brings up his maiden Test ???? pic.twitter.com/pk2mPy1Wxj
— BCCI (@BCCI) August 31, 2019
আরও পড়ুন ইশান্তের ফিফটিতে মাত সোশ্যাল মিডিয়া, ‘অলরাউন্ডার’ ঘোষণা করার দাবি
ভারতের ইনিংস যখন নিভু নিভু, তখনই হনুমা বিহারীর সঙ্গে সাবাইনা পার্কে হাল ধরলেন ইশান্ত। ১১২ রানের পার্টনারশিপে তিনিও করে গেলেন কেরিয়ারে প্রথম অর্ধশতরান। ইশান্ত শর্মা ৮০ বলে ৫৭ রানে আউট হয়ে যাওয়ার পরে ভারতের ইনিংস বেশিক্ষণ টেকেনি। থেমে যায় ৪১৪ রানে।
আরও পড়ুন ক্যাপ্টেনের জন্যই হ্যাটট্রিক, বলছেন বুমরা, দেখুন ভিডিও
ইশান্ত ক্রিজের অন্যপ্রান্তে টিকে না দাঁড়ালে হয়তো প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির মুখ দেখতে হত না। তাই বিহারী জানাচ্ছেন, "শতরান করতে পেরে ভাল লাগছে। এরজন্য ইশান্তেরও কৃতিত্ব রয়েছে। এদিন ও আমার থেকেও ভাল ব্যাটিং করেছে। বোলারদের নিয়ে মাঝেমধ্য়েই নিজেদের মধ্যে আলোচনা সারছিলাম আমরা। ইশান্তের অভিজ্ঞতাও আমার কাজে এসেছে।"
আরও পড়ুন বিহারীর সেঞ্চুরি, বুমরার হ্য়াটট্রিক, চালকের আসনে টিম ইন্ডিয়া
ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্রুত পরিণত হয়ে উঠছেন। জাতীয় দলে পাকাপাকি জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, "গতরাতে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলাম। রাতে ভাল করে ঘুমোতেও পারিনি। একটাই লক্ষ্য ছিল এই স্কোরকে বড় রানে কনভার্ট করা। এমন পরিস্থিতিতে নিজের প্রথম শতরান পেয়ে ভাল লাগছে। এই সেঞ্চুরি আমার কাছে বেশ তৃপ্তির।"
পাশাপাশি বুমরার বোলিংয়েরও প্রশংসা করেছেন উঠতি তারকা ব্য়াটসম্যান।
Read the full article in ENGLISH