টেস্টে তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে বিরল কীর্তি স্থাপন করেছেন। বল হাতে নামলেই একের পর এক নজির। জসপ্রীত বুমরা আর রেকর্ড কার্যত সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তারকা পেসার নিজের হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব দিলেন স্বয়ং বিরাট কোহলিকে। জানিয়ে দিলেন, কোহলি না থাকলে তাঁর হ্যাটট্রিক হত-ই না। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষেই বিসিসিআই টিভি-তে সাক্ষাৎকার দিলেন বুমরা। সাংবাদিকের ভূমিকায় স্বয়ং দলনেতা। আর সেখানেই বুমরা বলে দিলেন, লেগ বিফোরের ডিআরএসে যাওয়ার পিছনে কোহলির মস্তিষ্ক।
বুমরা নিজের হ্য়াটট্রিকের শুরুয়াত করেছিলেন ডারেন ব্র্য়াভোকে ফিরিয়ে। গুড লেংথের আচমকা লাফিয়ে ওঠা বল সামলাতে পারেননি ব্র্য়াভো। দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ চলে যায়। ঠিক তার পরের বলেই সামারা ব্রুকস-কে এলবিডব্লিউ-তে ফিরিয়ে দেন তারকা পেসার। ডিআরএস নিয়েও বাঁচতে পারেননি ব্রুকস। তিন নম্বর উইকেটের ক্ষেত্রে আবার টুইস্ট। ওভার পিচড বল প্যাডে লাগলেও আম্পায়ার আউটের আবেদনে সাড়া দেননি প্রাথমিকভাবে। সেই সময় কার্যত কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই ডিআরএস-এর জন্য আবেদন করে বসেন ক্যাপ্টেন কোহলি। রিভিউয়ে দেখা যায় নিয়ম মেনেই আউট রস্টন চেজ।
তারপরেই বুমরা বলছেন, "তিন নম্বর আউটের ক্ষেত্রে আমি নিশ্চিত ছিলাম না। প্রথমে ভেবেছিলাম ব্যাটে লেগেছে। তাই সেরকমভাবে আবেদনও করিনি। তবে রিভিউ ঠিকঠাক প্রমাণিত হল। আমি হ্যাটট্রিকের জন্য ক্যাপ্টেনের কাছে কৃতজ্ঞ।" হ্যাটট্রিক ছাড়াও বুমরা ফিরিয়ে দিয়েছেন আরও তিন ক্যারিবিয়ান ব্য়াটসম্যানকে। দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮৭/৭-এ ধুঁকছে।
নিজের বোলিংয়ের রহস্য জানাতে গিয়ে বুমরা আরও জানান, "উইকেটে বোলারদের জন্য যথেষ্ট রসদ রয়েছে। বাউন্সের পাশাপাশি লেট মুভমেন্ট হচ্ছে এই পিচে। পিচ বোলারদের দিকে যখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তখন বোলাররা লোভী হয়ে পড়ে। আরও আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে। সেই সময়ে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হয়। নির্দিষ্ট জায়গায় বল রাখার চেষ্টা করে চাপ বাড়িয়ে গিয়েছি।" প্রসঙ্গত, এর আগে টেস্টে ভারতের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ইরফান পাঠান এবং হরভজন সিং।
Read the article in ENGLISH