IPL 2008 controversy Harbhajan-Sreesanth fight: হরভজন-শ্রীসন্থের সেই চড়-কাণ্ড মনে আছে? ১৮ বছর পরও সেই ঘটনায় বিবেকদংশনে ভুগছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। টার্বুনেটর হরভজন সিং জানিয়েছেন, তাঁর কেরিয়ারের একটি ঘটনা যদি মুছে ফেলার সুযোগ পেতেন, তবে সেটা হত ২০০৮ আইপিএলের সেই বিতর্কিত মুহূর্ত, যখন তিনি সতীর্থ এস শ্রীসন্থকে (Sreesanth) চড় মেরেছিলেন। হরভজন স্বীকার করেছেন, সেই ঘটনায় পুরোপুরি দোষ ছিল তাঁরই। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, শ্রীসন্থের মেয়ের সঙ্গে এক অত্যন্ত স্পর্শকাতর কথোপকথন তাঁকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল।
২০০৮ সালের আইপিএলের (IPL) এক ম্যাচে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলার সময় হরভজন পাঞ্জাব কিংসের শ্রীসন্থকে ম্যাচ শেষে মাঠেই চড় মারেন। বিসিসিআই সেই ঘটনার পর হরভজনকে ওই মরশুমের বাকি ম্যাচ থেকে সাসপেন্ড করে। এই কাণ্ড এখনও পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত ঘটনা হিসেবে রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন 'কালো ট্যাক্সির মিটার...', জোফ্রা আর্চারকে নিয়ে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য় হরভজনের
রবিচন্দ্রণের অশ্বিনের ইউটিউব শো ‘কুট্টি স্টোরিজ’-এ এক প্রশ্নের উত্তরে হরভজন বলেন, “আমার জীবনের যেকোনও একটা ঘটনা বদলানোর সুযোগ পেলে আমি শ্রীসন্থের সঙ্গে যা হয়েছিল সেটা মুছে দিতে চাই। আমি অন্তত ২০০ বার ক্ষমা চেয়েছি। এটা একেবারেই ঠিক হয়নি। আমি জানি, সেটা আমার ভুল ছিল। আমরা সবাই মানুষ, ভুল হতেই পারে। তবে এমন ভুল যেন আর কখনও না হয় সেই চেষ্টা আমাদের করতে হবে। আমরা একসঙ্গে খেলেছি। ওই ম্যাচে আমরা প্রতিপক্ষ ছিলাম, কিন্তু তাও এমনটা হওয়া উচিত ছিল না।”
আরও পড়ুন স্যামসনের কেরিয়ার ধ্বংস করতে ছক? ফাঁস করতেই শ্রীসন্থকে নজিরবিহীন আক্রমণ
রাজ্যসভা সাংসদ ৪৫ বছরের হরভজন আরও বলেন, “ঘটনার অনেক বছর পরও আমাকে বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। একবার শ্রীসন্থের মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমি খুব ভালবাসা দিয়ে ওঁর সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন সে বলল, ‘আমি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাই না, তুমি আমার বাবাকে মেরেছ।’ তখন আমার বুকটা ভেঙে গিয়েছিল। আমি চোখের জল আটকে রাখতে পারিনি। ভাবছিলাম, আমি কি এমন ছাপ রেখে গেছি? ও হয়তো মনে করে আমি একজন খারাপ মানুষ। তখন থেকেই আমি বারবার ওঁকে বলেছি, যদি আমি কখনও কিছু করে তোমার মন ভাল করতে পারি বা তোমার মন থেকে খারাপ ধারণাটা দূর করতে পারি, তাহলে সেটা আমাকে বল। আমি চাই, বড় হয়ে ও যেন আমাকে সেই চোখে না দেখে। ভাবুক, আমি ওঁর কাকা, যে সবসময় পাশে থাকবে।”
এই কারণেই হরভজন চান, জীবনের সেই অধ্যায় মুছে ফেলতে। বলেছেন, “এই ঘটনাটা আজও আমায় কষ্ট দেয়। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুতাপের জায়গা।”