বিশ্বকাপে শেষবার খেলেছিলেন। তারপর প্রায় দু-মাস কেটে গিয়েছে। ফের মাঠে ফিরতে চলেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রবিবার ধর্মশালায় প্রথম টি টোয়েন্টি সেখানেই প্রত্যাবর্তন তারকা অলরাউন্ডারের। চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল পাণ্ডিয়াকে।
কয়েকমাস কেটে গেলেও হার্দিক পাণ্ডিয়া এখনও বিশ্বকাপের ক্ষত ভুলতে পারছেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আবহে সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হার্দিক জানাচ্ছেন, "বেশ কঠিন ছিল পুরো বিষয়টা। স্কোয়াডের প্রত্যেকেই ব্যথা পেয়েছিল। তবে জীবন তো এগিয়ে যায়। আরও খারাপ লাগত যদি দল হিসেবে আমরা ভাল না খেলতে পারতাম। আমার মনে হয়, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই খেলেছি। ব্যতিক্রম ছিল কেবল সেই ৩০ মিনিট।"
সেমিফাইনালে কিউয়িদের কাছে হেরে ছিটকে গেলেও দলগত পারফরম্যান্সের মূল্যায়ণ করতে বসে তারকা আরও জানাচ্ছেন, "টুর্নামেন্টে দারুণ খেলেছিলাম আমরা। প্রত্যেকেই নিজের দক্ষতার শীর্ষে উঠে পারফর্ম করছিল। স্রেফ নকআউটেই আমরা ছিটকে গিয়েছিলাম, এটাই যা। এই বিশ্বকাপ থেকে ফোকাস সরিয়ে আপাতত আমাদের লক্ষ্য পরবর্তী বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপের জেতার প্রচেষ্টাই চালিয়ে যেতে হবে।"
বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ২২৬ রান করার পাশাপাশি ১০ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। টানা ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে নিজের ফিটনেসের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি আরও জানান, "টানা বোলিং করার পাশাপাশি ব্যাটিং করা বেশ কঠিন। একজন বোলার যত বোলিং করেন, সেই পরিমাণ বোলিং আমাকেও করতে হয়। সেই সঙ্গে ব্যাটসম্য়ানদের মতো দীর্ঘক্ষণ খেলতে হয়। তাই সুপার-ফিট থাকাটা আমার পক্ষে বেশ প্রয়োজনীয়। প্রতি মুহূর্তে নিজের ফিটনেস উন্নত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই। নিজের ওয়ার্কলোডও ম্যানেজ করতে হয়।"
কোচ রবি শাস্ত্রী এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলির তুরুপের তাস তিনি। একাই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। হার্দিক এই প্রসঙ্গে বলছেন, "ক্যাপ্টেন আর কোচের আস্থা যখন সঙ্গে থাকে, তখন আত্মবিশ্বাস এমনিতেই বেড়ে যায়। সেটাই আমার কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনে। খেলার মুহূর্তগুলো উপভোগ করাই আমার কাছে সবসময়ে প্রাধান্য পেয়ে থাকে। নিজের মধ্য়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস রয়েছে। তাই অতিরিক্ত চাপ নেওয়ার প্রশ্নই নেই।"
Read the full article in ENGLISH