ভারতের সবথেকে বিখ্যাত রেলওয়ে টিকিট পরীক্ষক। রেলের চাকরি ছেড়ে ক্রিকেট খেলার মনস্থ করেছিলেন ধোনি একসময়। তারপর ইতিহাস। মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকের সৌজন্যে প্রত্যেকেই প্রায় ধোনির লড়াকু জীবন সম্পর্কে অবহিত। ধোনির পথেই এবার নতুন তারকার উত্থান ভারতীয় ক্রিকেটে।
ফের একজন টিকিট কালেকটর ভারতীয় ক্রিকেটের মূলস্রোতে। তাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে ভারতীয় ক্রিকেট। হিমাংশু সাঙ্গওয়ান। চলতি মরশুমেই রেলওয়েজের জার্সিতে প্রথমবার রঞ্জি ট্রফিতে খেলছেন। তাঁকে ঘিরেই ধোনির মতো উচ্ছ্বাস।
কারণ আর কিছুই নয়। রঞ্জি অভিষেকে একাই নড়িয়ে দিয়েছেন শক্তিশালী মুম্বই দলকে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ৫ উইকেটে ভর করেই মুম্বইকে হারিয়েছে রেলওয়েজ কিছুদিন আগে। মাত্র ৬০ রান খরচ করেই মুম্বইয়ের হেভিওয়েট ব্যাটিং লাইন আপের একের পর এক নক্ষত্রকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন। তাঁর শিকারের তালিকায় রয়েছেন অজিঙ্কা রাহানে, পৃথ্বী শ-এর মতো প্রতিষ্ঠিত তারকারাও।
রঞ্জি অভিষেকের আগে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ এবং লিস্ট-এ ম্যাচেও নজরকাড়া পারফরম্য়ান্স করেছেন দিল্লির এই উঠতি বোলার। ২৪ বছরের তারকার প্রথম শ্রেণির ম্যাচে উইকেট সংখ্যা ১২টি (উত্তরপ্রদেশের বিপক্ষে ৪টি, সৌরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২টি)। লিস্ট-এ ম্যাচে শিকারের সংখ্যা ১৪টি।
৪১ বারের রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন মুম্বইয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমেই ফুল ফুটিয়েছেন। তাঁর দাপুটে বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসেই মুম্বই ১১৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। সাঙ্গওয়ানের পেস-সতীর্থ টি প্রদীপ একাই নিয়েছিলেন হাফডজন উইকেট। এর ফলে প্রথম ইনিংসে ১৫২ রানের লিড পেয়েছিল রেলওয়েজ। দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বই আবার সাঙ্গওয়ানের পেস ঝড়ের সামনে পড়ে। ১৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বই। রঞ্জিতে খেলতে নামার আগে অনুর্ধ্ব ২৩ সিকে নায়ডু টুর্নামেন্টে ৩৭টি উইকেট দখল করেছিলেন।
তাঁর এই দ্রুত উত্থানের রহস্য কী! সাঙ্গওয়ান এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনে ট্রেনিং নিয়েছিলেন। সেখানে ম্যাকগ্রাথের পরামর্শেই বোলিং আরও ধারালো হয়েছে। ম্যাকগ্রাথের পরামর্শ কী ছিল, তা-ও ফাঁস করেছেন তিনি। অজি কিংবদন্তি পেসার কেবল জানিয়েছেন, বল হাতে ধৈর্য্য ধরতে হয়। এবং বোলিংয়ের বেসিক ফলো করতে। সেই পরামর্শ মেনেই ধোনির মতো উল্কাগতিতে উত্থান ঘটাচ্ছেন রেলওয়েজের নতুন তারকা টিকিট পরীক্ষক।