মোহনবাগান-২ (বেইতিয়া, নওরেম)
রিয়েল কাশ্মীর-০
কাশ্মীরে গিয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচে দুরন্ত জয় পেল মোহনবাগান। রিয়েল কাশ্মীরকে ২-০ গোলে হারিয়ে লিগ তালিকায় আরও উপরে উঠে এল সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। অধিকাংশ সময়ে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে। তীব্র ঠাণ্ডার কারণে ম্যাচ এগিয়ে করা হয়েছিল সকাল সাড়ে ১১টায়। তবে এসব সত্ত্বেও কিবু ভিকুনার দলের জয় পেতে সমস্যা হল না।
প্রথমার্ধে খেলার ফলাফল ছিল গোলশুন্য। তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে দু-মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে যান জোসেবা বেইতিয়া এবং নংদম্বা নওরেম।
গোটা ম্যাচেই মোহনবাগান বল পজেশনে এগিয়ে ছিল। গোলমুখী শটের সংখ্যাও ছিল বেশি। অন্যদিকে, রিয়াল কাশ্মীর মোহনবাগানের থেকে পাঁচটি অতিরিক্ত কর্ণার আদায় করে নিয়েছিল। যদিও ডেভিড রবার্টসনের ছেলেরা তা থেকে গোল তুলে আনতে পারেননি।
নতুন রিক্রুট বাবা দিওয়ারাকে এদিন প্রথম একাদশে রেখে দল সাজিয়েছিলেন বাগানের স্প্যানিশ কোচ। ফিরিয়ে আনা হয়েছিল ধনচন্দ্র সিং-কেও। যিনি সাসপেন্ড ছিলেন। অন্যদিকে চেন্নাই সিটি এফসির বিপক্ষে নামানো প্রথম একাদশই অপরিবর্তিত রেখেছিলেন কাশ্মীর কোচ ডেভিড রবার্টসন।
বাঁশি বাজা থেকেই মরিয়া হয়ে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে মোহনবাগান। প্রথম ছয় মিনিটের মধ্যেই তিনটে কর্ণার পেয়েছিল তারা। এরপরে ২২ মিনিটে নওরেম গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তাঁর বাঁ পায়ের শট কাশ্মীর গোলকিপার পূর্বা লাচেনম্পাকে কোনও সমস্য়ায় ফেলতে পারেনি।
কাশ্মীরও কিছু গোলের সুযোগ পেয়েছিল। বিরতিতে খেলার ফলাফল ছিল ০-০। দ্বিতীয়ার্ধেও প্রাধান্য নিয়ে খেলা শুরু করে মোহনবাগান। যদিও কাশ্মীর প্রথম ২০ মিনিটে একাধিক গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল। ৪৯ মিনিটে বাজির শট ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৬৫ মিনিটে ম্যাসন রবার্টসনের হেডে গোলমুখী শট প্রতিহত করেন বাগান গোলকিপার শঙ্কর রায়।
এরপরেই বাগানের জোড়া গোল। ডান প্রান্তিক আক্রমণে ধনচন্দ্রের থ্রো ড্যানিয়েল সাইরাসের কাছে পৌঁছয়। সেই বল আবার দিকভ্রষ্ট হয়ে বেইতিয়ার কাছে চলে যায়। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি স্প্যানিশ তারকা। ঠিক দু-মিনিট পরেই দুরন্ত ভলিতে বাগানের জয়সূচক গোল করে যান নওরেম।
পাঁচ ম্যাচ খেলার পরে মোহনবাগানের পয়েন্ট আপাতত ১০। চার ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে কাশ্মীর আবার আট নম্বরে নেমে গেল। জানুয়ারির ৯ তারিখে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের মুখোমুখি হবে মোহনবাগান।
Read the full article in ENGLISH