লোকসভার নির্বাচনের সূচনা হয়ে গিয়েছে। গোটা দেশ জুড়েই আপাতত নির্বাচনী হাওয়া। ক্রিকেট বিশ্বকাপ আবার সামনের মাসেই। জোড়া এই ঘটনা এবার এক ছাতার তলায় এসে পড়ল। সৌজন্যে নরেন্দ্র মোদি এবং রবীন্দ্র জাদেজা। আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার সরাসরি মোদির হয়ে প্রচার শুরু করে দেন। তারপরে তাঁকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে নির্বাচিত হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
যা নিয়ে শুরু নয়া বিতর্ক। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্কোয়াডে আরও ১৪জন ক্রিকেটার রয়েছেন। তাঁদেরকে আলাদা করে শুভেচ্ছা না জানালেও জাদেজাকে কেন পৃথকভাবে টুইট করেছেন তিনি। যা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। গত বছরেই জাদেজার স্ত্রী রিভাবা জাদেজা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। তারপরে তাঁকে গুজরাতের বিজেপির মহিলা মোর্চার বড়সড় পদে বসানো হয়।
ঘটনার সূত্রপাত জাদেজার একটি টুইট থেকে। যেখানে জাদেজার সরাসরি লেখেন, "আমি বিজেপি-কে সমর্থন করি। এরপরে স্ত্রী রিভাবা জাদেজা, নরেন্দ্র মোদিকে ট্যাগ করে শেষে লেখেন, জয় হিন্দ।" তারপরেই মোদি বিশ্বকাপের দলে নির্বাচিত হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানান তারকা ক্রিকেটারকে। এই টুইটের পরেই সোশ্য়াল মিডিয়া ব্যবহারকারীর একাংশের আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি। অনেকেই বিসিসিআইকে অভিযোগ জানিয়ে টুইট করেন, ক্রিকেটারদের সঙ্গে কেন রাজনীতির সরাসরি সংস্রব থাকবে! অনেকেই আবার ক্রিকেট বোর্ডের গেরুয়াকরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
যদিও অনেকেই লেখেন, ক্রিকেটারদের নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতেই পারে। এতে অসুবিধার কিছু নেই। আর বোর্ডের রাজনীতিকরনের বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য, সেই সূত্র মানলে তো সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া গৌতম গম্ভীরকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখতে পারত! সবমিলিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ও রাজনীতি নিয়ে ফের একবার সরগরম সোশ্য়াল মিডিয়া।