সামান্য একটা টুইট করেছিলেন। সেই টুইটের স্বাদ যে এতটা তেতো হবে, বুঝতেই পারেননি সানিয়া মির্জা। যাই হোক, ফের একবার বিশ্বকাপের মাঝে সানিয়া মির্জা বরাবরের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার। বিশ্বকাপ চলাকালীন তৃতীয়বার। চলতি বিশ্বকাপে বেশ রোলার-কোস্টার রাইড চলছে পাকিস্তানের। সরফরাজদের পারফরম্যান্সে কখনও রোদ তো কখনও বৃষ্টি! তবে ভারতের কাছে হারার পরে পাকিস্তান ক্রিকেটার নিয়ে উত্তুৎঙ্গ সমালোচনা শুরু হয়। সরফরাজ তো মানসিকভাবে বিধ্বস্তই হয়ে পড়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা বাস্তবে- ক্যাপ্টেন সরফরাজকে নিয়ে রীতিমতো ঝড় বইছিল ভারত ম্যাচের পরে। শোয়েব আখতার থেকে মিসবাহ উল হক—সবাই মেতেছিলেন সমালোচনার খেলায়।
তবে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা ও পরে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার বিষয়ে অনেকটাই ফেভারিট পাকিস্তান। ঝড় তার পরেই শান্ত হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানকে এখনও শেষ চারে উঠতে হলে, বাকি প্রতিটি ম্যাচ জিততে হবে। শুধু তাই নয়, শেষ চারে যাওয়ার দৌঁড়ে রয়েছে যে আরও দুই দল বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড, তাদের খেলার ফলাফলেও নজর রাখতে হবে।
যাইহোক, পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যাওয়ার পরে সানিয়া মির্জা নিউজিল্যান্ড বিরুদ্ধে জয়ের পরে ছোট ৮ শব্দের একটি টুইট করেছিলেন। স্বস্তির টুইটে লেখা, "খেলা কতটা অবিশ্বাস্য ভাবেই না সবকিছু বদলে দেয়।" টুইটে পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের সমালোচকদের হালকা কটাক্ষও মেশানো ছিল।
তবে এই টুইটের পরেই ফের একপ্রস্থ বিতর্ক। সানিয়াকে উলটে কটাক্ষ হজম করতে হয়েছে পাক সমর্থকদের পক্ষ থেকে। সবাই তুলে আনছেন সানিয়ার স্বামী শোয়েব মালিকের বাদ পড়া এবং পরিবর্ত হিসেবে নেমে হ্যারিস সোহেলের দুর্ধর্ষ খেলা। প্রসঙ্গত, শোয়েব মালিক প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়ার পরেই পাকিস্তান স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে।
সানিয়ার টুইটের নিচেই তাই ভেসে এসেছে একের পর এক পালটা-টুইট! একজন লিখেছেন, হ্যারিস সোহেলের বিশ্বকাপের দুই ইনিংস শোয়েব মালিকের পুরো ২০ বছরের কেরিয়ারের থেকেও ভাল। অন্য একজন লিখেছেন, সমস্ত কৃতিত্ব শোয়েব মালিকের, প্রথমল একাদশে না থাকার জন্য।
বিশ্বকাপের সময় পাকিস্তানকে সমর্থন করার জন্য় সানিয়াকে আগেই ভারতীয়দের পক্ষ থেকে ট্রোল করা হয়েছিল। তারপর ভারত ম্যাচে হারের পরে আবার সানিয়া শিরোনামে এসেছিলেন, ম্যাচের আগের রাতে বারে গিয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে হুক্কা পান করার জন্য।