Virat Kohli Dismissal in Perth Test: যাঁকে ঘিরে বর্ডার গাভাসকার ট্রফির যাবতীয় উন্মাদনা, সেই বিরাট কোহলি পারথের অপটাস স্টেডিয়ামে টিকলেন মাত্র ১২ বল। দেবদূত পাড়িক্কল আউট হয়ে যাওয়ার পর দ্রুতই মাঠে প্রবেশ করেছিলেন। যা তাঁর স্বভাব বিরুদ্ধ। প্ৰথম বল ফেস করার আগে এক ওভার কাটাতে হল নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে।
জস হ্যাজেলউডের বলে অফ স্ট্যাম্পের বাইরে ছয় ইঞ্চি সরে গার্ড নিয়েছিলেন। তারপরেই শুরু হল যাবতীয় নাটক। সাধারণত ইংল্যান্ডে আউট সুইংয়ের ঝাঁজ কমাতে এই স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিলেন কোহলি। ২০১৪-য় অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও একই কৌশল নিয়েছিলেন। তবে এই পারথে এমনিতে কোনও জুজু নেই। অস্ট্রেলিয়ান পিচে সাধারণত যা হয়ে থাকে, সেটাই ঘটল।
বল মুভি করছিল। সূর্য পুরোপুরি আলো ছড়ানোর পর বাউন্স ক্যারি করছিল। ম্যাচের শুরুতে সেরকম বাউন্স অদৃশ্য ছিল পারথে। তবে খেলা গড়ানোর সঙ্গেসঙ্গেই বাউন্স স্বমূর্তি ধরতে থাকে। কেএল রাহুল লম্বা লম্বা স্ট্রাইড নিয়ে সুইংয়ের মোকাবিলা করছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারত তো কচুকাটা হল! জাফরকে টুইট করে আবারই বড় অপমানের পথে ভন
তবে কোহলি বেশি স্ট্রাইড না নিয়েও অফস্ট্যাম্পের বাইরে গার্ড নিয়ে যাবতীয় আলোচনার জন্য দিয়েছিলেন। হ্যাজেলউড প্ৰথম তিন ওভারে শান্ত ছিলেন। পরে প্যাভিলিয়ন এন্ড থেকে আক্রমণে আসেন। যে প্রান্ত থেকে বেশি বাউন্স আদায় করা সম্ভব হচ্ছিল। হ্যাজেলউড আক্রমণে এসেই কোহলির সামনে মিচ মার্শকে শর্ট মিড উইকেটে সরে আসতে বলেন।
আর পরের বলেই কোহলির পতন। কীভাবে? অফস্ট্যাম্পের বাইরে ব্যাক অফ দ্য লেন্থ বল ছিল। কোহলি ফরোয়ার্ড মুভমেন্ট করেছিলেন। পরের বলের গতিপথ বুঝতে পেরেই কোহলি পা পিছনে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। তবে ততক্ষণে যা বিপদ হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বলের লাইন থেকে ব্যাট সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও এক্সট্রা বাউন্স পেয়ে বল সোজা প্ৰথম স্লিপে পৌঁছে যায়।
তাই শুরু হয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া সিরিজে কোহলির মন্ত্র হতে চলেছে অফস্ট্যাম্পের বাইরে স্ট্যান্স নিয়ে যত বেশি সম্ভব ফরোয়ার্ড মুভমেন্ট করা। প্ৰথম ইনিংসে এই কৌশল কাজে এল না। পারথের দ্বিতীয় ইনিংসে কি এই কৌশল কাজে আসবে, সেটাই দেখার।
FOLLOW LIVE UPDATES IN BENGALI
READ THE FULL ARTICLE IN ENGLISH