Mohammed Siraj verbal duel with Najmul Hossain Shanto in IND vs BAN: মাঠে বন্ধু কোহলির সঙ্গে তাঁর জুটিতে আগ্রাসন ক্রিকেট মাঠে পরিচিত দৃশ্য। দেশ হোক বা বিদেশে আগ্রাসন দেখিয়েই ফাস্ট বোলিং করেন মহম্মদ সিরাজ। প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের কাছে আগ্রাসী সিরাজ বরাবর-ই ত্রাস। সেই ত্রাস-ই সিরাজ ফিরিয়ে আনলেন চেন্নাই টেস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
নাজমুল হোসেন শান্ত টের পেলেন সিরাজের আগুন কতটা ভয়াবহ হতে পারে। বুমরা অন্যপ্রান্ত থেকে যথারীতি অনবদ্য বোলিং করছিলেন। সিরাজ তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করছিলেন নিখুঁত লাইন লেন্থে ব্যাটারদের পরীক্ষা নিয়ে। প্ৰথম ঘন্টায় বাংলাদেশি ব্যাটাররা ভারতের পেস জুটির কাছে উইকেট না হারালেও সবসময়ই অস্বস্তিতে ছিল।
নাজমুল হোসেন শান্ত ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে ক্রিজে কোনওরকমে টিকে ছিলেন। সিরাজের একটা শর্ট বল পুল করে বাউন্ডারিতে পাঠানোর পরেই যত ঘটনার ঘনঘটা। সরাসরি সিরাজ স্লেজ করতে থাকেন নাজমুল শান্তকে। পরের বলেই অফস্ট্যাম্পের বাইরে গুড লেংথের বলে বিট করান বাংলাদেশি ক্যাপ্টেনকে। তারপর আরও একবার দু-চার কথা শুনিয়ে দেন টাইগার তারকাকে।
— Kirkit Expert (@expert42983) September 22, 2024
যদিও সিরাজের স্লেজিংয়ের সামনেও অবিচল ছিলেন শান্ত। রুদ্রমূর্তি ধরা সিরাজের সঙ্গে আর লাগার সাহস পাননি। শান্তকে এরপরে টানা ১৪০ প্লাস গতিতে বল করে যান সিরাজ। স্লেজিং-পর্বের একটা সময়ে সিরাজ বল তালুবন্দি করে শান্তর দিকে ছোঁড়ার ভঙ্গিও করেন।
— Kirkit Expert (@expert42983) September 22, 2024
কমেন্ট্রি বক্সে তামিম ইকবাল রসিকতার সঙ্গে শাস্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন দুজনের মধ্যে কী বাক্য বিনিময় হচ্ছে! শাস্ত্রী বলেন, সম্ভবত শান্ত সকালে ব্রেকফাস্ট করেছে কিনা, সেটাই জিজ্ঞাসা করছেন হয়ত। তামিম পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন, হিন্দিতে এর ভাষ্য কী হবে? শাস্ত্রীর অনুমান করা জবাব, 'কিতনে দহি খায়ে হো?' টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ আরও বলেন, সিরাজ চতুরতার সঙ্গে স্ট্যাম্প-মাইক এবং ক্যামেরা ফাঁকি দেওয়ার জন্য মুখ আড়াল করে স্লেজিং করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ফিল্ডিং সাজালেন পন্থ! মেনে নিলেন ক্যাপ্টেন শান্তও, চেন্নাইয়ে বড় কমেডি টাইগারদের
বেশ কিছুক্ষণ ধরে সিরাজ বনাম শান্ত সংঘাত চলার পর তামিম সংশয় প্রকাশ করে বলে দেন, দই খেয়েছে কিনা, এতটাও নিরামিষ কথোপকথনও সম্ভবত হচ্ছে না দুজনের মধ্যে। যাইহোক, বুমরা-সিরাজ উইকেট না পেলেও অশ্বিন আক্রমণে আসার পরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের প্রতিরোধ। শেষ ৬ উইকেট হারায় মাত্র ৪০ রানে।