Tabraiz Shamsi slams BCCI: বাংলাদেশকে টি২০ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে নাস্তানাবুদ করার পর টিম ইন্ডিয়া তথা বিসিসিআইকে একহাত নিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার তাব্রিজ শামসি। হায়দরাবাদে তৃতীয় টি২০ ম্যাচকে কার্যত রানের উৎসবে পরিণত করেছে ভারত। পিচ এবং অনুকূল ব্যাটিং পরিস্থিতি এক্ষেত্রে টিম ইন্ডিয়ার সহায়ক হয়েছে বলেই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত স্পিনারের দাবি। এই ম্যাচে ভারত টি২০ ফরম্যাটে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান করেছে। ৩০০-র থেকে মাত্র তিন রান কমে শেষ হয়েছে সূর্যকুমার যাদবদের ইনিংস।
এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকান বাঁ-হাতি রিস্ট-স্পিনার ভারতীয় ব্যাটারদের প্রশংসা করেও বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতার মানকে উন্নত করার জন্য বাউন্ডারিটা বড় করার দরকার ছিল। পিচ যাতে বোলারদের সহায়ক হয়, সেটাও নিশ্চিত করার প্রয়োজন ছিল। স্বভাবতই তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কারণ, একই পিচে খেলে অনেক কম রানেই থেমে গিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। আর, ভারতের রানের পাহাড়ই বলে দিচ্ছে যে বাংলাদেশের বোলারদের এই ম্যাচে পারফরম্যান্স ঠিক কেমন ছিল।
যাইহোক, বছর ৩৪-এর দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মতামত শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন, 'ভারতীয় ব্যাটারদের দক্ষতা এবং গুণমান নিয়ে আমার কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু, পিচটার কথা বলতে গেলে বলব যে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় ব্যাট এবং বলের ভারসাম্য রাখা দরকার। তাই বড় বাউন্ডারি আর বোলার সহায়ক পিচে খেলা উচিত।'
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের ওপর অত্যাচারে রেকর্ডের পর রেকর্ডের পাহাড় ভারতের! তান্ডবে ছিন্নভিন্ন সব পরিসংখ্যান
এই ম্যাচে ভারত ২৫টি চার এবং ২২টি ছক্কা মেরেছে। শামসির একথা সত্যি যে হায়দরাবাদ বরাবরই ব্যাটিং সহায়ক পিচ। এখানে প্রচুর রান ওঠে। স্যামসনই তো শনিবারের ম্যাচে এখানে ৪৭ বলে ১১১ করেছেন।। ১১টি চার এবং ৮টি ছয় মেরেছেন। যার জেরে ভারত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে তুলেছে ২৯৭ রান।
আরও পড়ুন: সূর্যকুমারের বিশ্বকাপজয়ী ক্যাচকে চরম অপমান! পাকজাত দক্ষিণ আফ্রিকান তারকাকে ধুয়ে দিল ক্রিকেটমহল
সূর্যকুমারও দুর্দান্ত রান করেছেন। ৩৫ বলে ৭৫, যার মধ্যে ছিল ৮টি চার এবং ৫টি ছক্কা। সব মিলিয়ে স্বপ্নের ইনিংস খেলেছে ভারত। হার্দিক পান্ডিয়া, রিয়ান পরাগরাও রান পেয়েছেন। একইসঙ্গে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৭ উইকেটে এই পিচেই তুলেছে মাত্র ১৬৪ রান। তার মধ্যেই হৃদয় ৪২ বলে করেছেন ৬৩ রান। আর, লিটন দাস ২৫ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন।