India vs Bangladesh 3rd t20I match report: লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা! রেকর্ড, রেকর্ড, রেকর্ড! আইপিএলে বহু রান বন্যার ম্যাচ দেখেছে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়াম। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে তান্ডবের প্রদর্শনী দেখিয়ে ইতিহাস বইয়ে জায়গা করে নিল ভারত, সেই ঘটনা আইপিএল তো বটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বিরল।
চতুর্থ দ্রুততম শতরান, এক ইনিংসে সর্বাধিক ছক্কা, বাউন্ডারি; টেস্ট খেলিয়ে দলগুলোর মধ্যে টি২০ আন্তর্জাতিকে সর্বাধিক দলগত রান- লজ্জার বস্তায় পুড়ে শনিবার বাংলাদেশকে নাকানিচোবানি খাওয়াল টিম ইন্ডিয়া। গোটা ভারত সফরেই লাঞ্ছনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ।
চেন্নাইয়ে ২৮০ রানে হার দিয়ে যাত্রা শুরু। তারপরে ক্রমে দিন যত গড়িয়েছে, ততই ভারত সফর দুঃস্বপ্ন হিসাবে হাজির হয়েছে। কানপুরে মাত্র দেড় দিনের কিছু বেশি সময়ে হার হজম করে টেস্ট সিরিজ শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তবে টি২০ সিরিজ টেস্টের লজ্জাকেও মুছে দিল শনিবার।
প্ৰথম ম্যাচে ভারত ছেলেখেলা করে ১১.৫ ওভারে বাংলাদেশের ১২৮ রান তুলে দিয়েছিল। দিল্লিতে নীতিশ রেড্ডির ঝড়ের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে টাইগার শিবির। তবে লজ্জার সর্বোচ্চ সীমায় যে দ্বিতীয় ম্যাচও ছাড়িয়ে যাবে ভাবা যায়নি!
আরও পড়ুন: শারীরিকভাবে বাংলাদেশ দুর্বল! ভারতীয়দের ছক্কার ফোয়ারার জন্য শান্তদের জিনকে দায়ী টাইগার কোচের
সঞ্জু-সূর্যকুমার-রিয়ান পরাগ-হার্দিকদের ধুঁয়াধার ছক্কা পর ছক্কা হাঁকানো ভারতের ২৯৭ টার্গেটের সামনে বাংলাদেশ শেষমেশ ২০ ওভারে তুলল ১৬৪/৭। ১৩৩ রানের শনিবারের এই জয় টি২০তে ভারতের তৃতীয় সর্ব বৃহৎ জয়। লিটন দাসের ২৫ বলে ৪২ এবং তাওহিদ হৃদয়ের ৪২ বলে ৬৫ রানের ইনিংস বাদে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বলার কিছু নেই। রবি বিশ্নোই একাই ধসিয়ে দিলেন বাংলাদেশের ব্যাটিংকে। ৩ উইকেট নিয়ে যান তারকা স্পিনার। লিটন দাস যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ততক্ষণ ওভার পিছু ১০-এর বেশি তুলেছিল বাংলাদেশ। তবে লিটন ফেরার পরেই বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় সম্মানজনক পরাজয়ে।
প্ৰথমে বল করার সময়ে বাংলাদেশ শুরুটা খারাপ করেনি। তৃতীয় ওভারেই অভিষেক শর্মাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তানজিম সাকিব। তারপরে স্রেফ চার, ছক্কার বন্যা। সঞ্জু স্যামসন টানা দুই ম্যাচে শান্ত ছিলেন। তবে রুদ্রমূর্তি ধরলেন এমন একটা সময়ে যে ম্যাচের আগে তাঁকে ধরা হচ্ছিল অকালে ধসে যাওয়া ট্যালেন্টের তালিকায় সাম্প্রতিক সম্ভাব্য তারকা। বাংলাদেশের বিপক্ষে চলতি সিরিজ-ই তাঁর কেরিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক হতে চলেছে কিনা, তা নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ছক্কায় ছক্কায় ইতিহাস গড়ে সেঞ্চুরি! বলের সঙ্গে টাইগারদের ছাল খুলে রেকর্ড বইয়ে সঞ্জু স্যামসন
তবে সঞ্জু বোঝালেন, তিনি স্রেফ আইপিএল প্রতিভা নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি যেদিন শাসন করবেন, সেদিন বোলারদের হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য হবেন। শুরুটা করেছিলেন তিন নম্বরে নামা সূর্যকুমার যাদব। তবে সঞ্জু হাত খোলার পরেই ধসে যায় বাংলাদেশের বোলিং।
Adipoli Sanju Chetta 🤌
— JioCinema (@JioCinema) October 12, 2024
The 2nd fastest ton by an Indian 👏
#INDvBAN #IDFCFirstBankT20Trophy #JioCinemaSports #SanjuSamson pic.twitter.com/uOSUUZuJjE
৬৯ বলের পার্টনারশিপ ছিল সঞ্জু-সূর্যকুমারের। তাতেই ভারত যোগ করে ১৬৩ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় উইকেটে যা সর্বাধিক রানের রেকর্ড। সঞ্জু ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর শতরানে পৌঁছন ৪০ বলে। সূর্যকুমার ৩৫ বলে ৭৫ করেন। সঞ্জু ১১ টা ছক্কা হাঁকানোর পাশাপাশি বাউন্ডারি হাঁকান ৮টা। সূর্যকুমার ৮টা বাউন্ডারির সঙ্গেই ছক্কা হাঁকিয়ে যান ৫টি। দুজনের তান্ডবে মাঠেই নেতিয়ে যায় বাংলাদেশ।
Sanju Samson - you beauty!🤯#IDFCFirstBankT20ITrophy #INDvBAN #JioCinemaSports pic.twitter.com/JsJ1tPYKgD
— JioCinema (@JioCinema) October 12, 2024
Captain SKY starts with a bang 💥
— JioCinema (@JioCinema) October 12, 2024
Watch the final #INDvBAN T20I LIVE on #JioCinema, #Sports18 & #ColorsCineplex#IDFCFirstBankT20Trophy #JioCinemaSports pic.twitter.com/uflowmREeu
পরপর দু ওভারে সঞ্জু-সূর্যকুমার আউট হয়ে গেলেও রেহাই মেলেনি বাংলাদেশের। হার্দিক পান্ডিয়া ১৮ বলে ৪৭ এবং রিয়ান পরাগ ১৩ বলে ৩৪ করে বাংলাদেশের বোলারদের লাঞ্ছনা অব্যাহত রাখেন শেষ বল পর্যন্ত। পুরো ম্যাচ জুড়ে সারাক্ষণ দেখার বিষয়ই ছিল বাংলাদেশ শেষমেষ ৩০০ রান হজম করে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিতে পারে কিনা!
Hardik Pandya striking it clean 💥
— JioCinema (@JioCinema) October 12, 2024
#IDFCFirstBankT20Trophy #JioCinemaSports #INDvBAN pic.twitter.com/m97nGgHP0t
শেষ ওভারে তানজিম সাকিবের ওভারে ১২ তুললেই ৩০০ করে ফেলতে পারত ভারত। তবে অল্পের জন্য সেই সুযোগ হাতছাড়া করে বসে টিম ইন্ডিয়া। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবথেকে কম খরুচে হিসাবে আবির্ভূত হন মিরাজের বদলে প্ৰথম একাদশে জায়গা করে নেওয়া মেহেদি হাসান। ৪ ওভারে তিনি দেন 'মাত্র' ৪৫।
তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম সাকিব তিন পেসার ওভার পিছু খরচ করেছেন যথাক্রমে ১২.৭৫, ১৩.০০ এবং ১৬.৫। রিশাদ হোসেনকে ২ ওভারের বেশি দেওয়ার সাহস পাননি ক্যাপ্টেন শান্ত। তারমধ্যেই তিনি ৪৬ রান দিয়ে যান। সঞ্জুর তান্ডবে রিশাদ দ্বিতীয় ওভারেই ৩০ রান বিলিয়ে যান পাঁচ ছক্কা হজম করে।