5 indian cricketers who played with major injury: ম্য়ানচেস্টার টেস্টে (IND vs ENG 4th Test Match) ভাঙা পায়ে ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) বাহাদুরি দেখে বিস্মিত ক্রিকেট দুনিয়া। এখনও তাঁর এমন অদম্য জেদে ২২ গজে লড়াই দেখে বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না কারও। পন্থের এই লড়াকু ইনিংস ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেক মনে থাকবে। তবে এর আগেও ভারতীয় ক্রিকেটাররা চোট নিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে খেলে ক্রিকেটবিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন। এই প্রতিবেদনে রইল এমনই কিছু অত্যাশ্চর্য ঘটনা।
Advertisment
মোহিন্দর অমরনাথ, বার্বাডোজ টেস্ট
ইনিংসে হার এড়াতে ২৭৭ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। বার্বাডোজের ফাস্ট পিচে অংশুমান গায়কোয়াড়ের সঙ্গে ব্যাট করছিলেন মোহিন্দর অমরনাথ। ম্যালকম মার্শালের একটি বাউন্সারে হুক শট করতে গিয়ে বল অমরনাথের মুখে লাগে। তখন তাঁর রান ছিল ১৮। চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। কিন্তু যখন ভারত ১৩৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে, তখন তিনি আবার মাঠে ফিরে আসেন এবং দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যাট করে দুর্দান্ত ৮০ রান করেন।
Advertisment
অনিল কুম্বলে, অ্যান্টিগা টেস্ট
অনিল কুম্বলের (Anil Kumble) জেদ আর ত্যাগের কথা কে ভুলতে পারে? অ্যান্টিগার পিচে ব্যাট করতে নেমে মার্ভিন ডিলনের একটি বাউন্সারে তাঁর চোয়ালে গুরুতর আঘাত লাগে। তবুও চোটের পর ২০ মিনিট ব্যাট করে যান কুম্বলে। পরে জানা যায়, তাঁর চোয়াল ভেঙে গেছে। বেঙ্গালুরুতে অপারেশন করার জন্য উড়ান ধরা নির্ধারিত থাকলেও তিনি মাঠে ফিরে আসেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে টানা ১৪ ওভার বল করেন। ব্রায়ান লারাকে এলবিডব্লিউ আউট করেন।
ভিভিএস লক্ষ্মণ (VVS Laxman) পিঠের তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে প্রথম ইনিংসে দশ নম্বরে ব্যাট করেছিলেন। মোহালির কঠিন পিচে জয়ের জন্য ভারতকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৬ রান করতে হত। দল তখন ৭৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে। লক্ষ্মণ ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে যখন স্কোর ১২৪ তে পৌঁছায়, তখন ৮ উইকেট পড়ে যায়। লক্ষ্মণ ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে টেলএন্ডার ব্যাটারদের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে এক উইকেটে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন।
VVS Laxman Injury: পিঠের অসহ্য যন্ত্রণাও কাবু করতে পারেনি লক্ষ্মণকে
অশ্বিন এবং বিহারীর বাহাদুরি, সিডনি টেস্ট
অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর একটি ছিল সিডনির নিউ ইয়ার টেস্ট। জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ৪০৭ রান। ২৭৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর রবিচন্দ্রণ অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) এবং হনুমা বিহারী প্রায় এক সেশন ব্যাট করে ম্যাচ বাঁচান। অশ্বিন পিঠের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিলেন, আর বিহারী গ্রেড-২ হ্যামস্ট্রিং চোটে ভুগছিলেন এবং পেইন কিলার নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। বিহারী ১৬১ বল এবং অশ্বিন ১২৮ বল খেলেন এবং ভারতকে হার থেকে রক্ষা করেন।
Ashwin-Vihari Partnership: সিডনিতে অশ্বিন-হনুমা বিহারীর লড়াই আজীবন মনে রাখার মতো
ঋষভ পন্থ, ম্যানচেস্টার টেস্ট
যে কেউ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) ফুলে যাওয়া পায়ের ছবি দেখলে ভাবত, তিনি হয়ত কয়েক সপ্তাহ বা মাসের জন্য ছিটকে গেলেন। ৩৭ রানে ব্যাট করার সময় ক্রিস ওকসের একটি দ্রুত গতির বল তাঁর পায়ে আঘাত করে। তাঁর বুড়ো আঙুল ভয়ানকভাবে চোট পায়, তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ ছাড়তে হয়।
পরদিন সকালে তাঁর মেটাটারসাল ফ্র্যাকচারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে তিনি ব্যাট করতে নামেন। এক পা নিয়ে সিঙ্গল রান নেওয়ার মতো কষ্টসাধ্য কাজও করেছেন। অবশেষে জোফ্রা আর্চারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে, তিনি মূল্যবান হাফসেঞ্চুরি করেন।
চোট পেয়েও পন্ত যেভাবে মাঠে ফিরে এসে একপ্রান্ত আগলে ভারতকে মূল্যবান রান এনে দেন, তা ধারাভাষ্যকারদেরও মুগ্ধ করে। প্রাক্তন ইংলিশ ক্রিকেটার মাইকেল অ্যাথারটন কমেন্ট্রিতে বলেন, “তিনি তাঁর ভাঙা পা জুতোর মধ্যে ঢুকিয়ে ধীরে ধীরে মাঠের দিকে এগিয়ে আসছেন। এটা সত্যিই অসাধারণ দৃশ্য।”