Shubman Gill captaincy vs England: যবে থেকে শুভমান গিল (Shubman Gill) ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক হয়েছেন, তখন থেকেই তাঁর মেজাজ এবং মাঠে উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো। মাঠে তিনি যেভাবে লাফিয়ে উঠছেন, গর্জে উঠছেন, তা দেখে অনেকেরই মনে হচ্ছে যে পুরো দলে এমন উৎসাহী ক্রিকেটার আর কেউ নেই। যদিও অনেক ক্রিকেটপ্রেমীর এই নতুন রূপ একেবারেই ভাল লাগছে না, তবে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার মইন আলি (Moeen Ali) কিন্তু শুভমানের এই আগ্রাসী মনোভাব দেখে খুশি। তাঁর মতে, গিলের এই আচরণে তিনি যেন বিরাট কোহলির ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।
মইন আলি আরও বলেন, লর্ডস টেস্ট (IND vs ENG) চলাকালীন ভারতীয় ব্যাটারদের তীব্র মনোভাবই ইংল্যান্ড দলকে পাল্টা জবাব দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
সম্প্রতি ভারত-ইংল্যান্ড (India vs England) টেস্ট সিরিজে শুভমান গিলকে বেশ আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গেছে। বিশেষ করে এজবাস্টনে তাঁর আচরণ ছিল একেবারে বিরাট কোহলির মতো। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৮ সালে এই মাঠেই কোহলি একটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন, আর সেই একই মাঠে গিল এবার একটি দ্বিশতরান এবং পরের ইনিংসে ১৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন।
আরও পড়ুন ইতিহাস বদলাতে পারবেন শুভমানরা? ওল্ড ট্রাফোর্ডের রেকর্ডই চোখ রাঙাচ্ছে ভারতকে
গিলের নেতৃত্ব নিয়ে মইন বলেন, "আমি মনে করি এটা একদম ঠিক আছে। ও কেবল ম্যাচে প্রতিপক্ষের উপর প্রভাব তৈরি করতে চাইছে, এটা বিরাটের মতো। আমি এতে কোনও সমস্যা দেখি না।"
গ্লোবাল সুপার লিগে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলা মইন আলি মনে করেন, শুভমান ও ভারতীয় দলের আগ্রাসন ইংল্যান্ডকে তার সেরাটা দিতে বাধ্য করেছে। তিনি বলেন, "দ্বিতীয় দলের ওপর অবশ্যই এই আগ্রাসনের প্রভাব পড়ে। আপনি যা করলেন, তা ইংল্যান্ডকে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এটা ওদের অন্য একটি দিক দেখাল। তবে সিরিজ জয়ের জন্য ভারত যা করেছে, তা দারুণ প্রয়াস। আমি বুঝতে পারছি না কেন এটা নিয়ে এত সমালোচনা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন লর্ডসের 'ভিলেন' এই ৫ ক্রিকেটার, নামতে পারে বড়সড় শাস্তির খাঁড়া!
তবে ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকে কিন্তু শুভমানের এই আচরণে সন্তুষ্ট নন। সঞ্জয় মঞ্জরেকর, ইরফান পাঠান এবং মহম্মদ কাইফ সকলেই গিলের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ইরফান পাঠানের মতে, এই আগ্রাসনের প্রভাব গিলের ব্যাটিংয়েও পড়ছে। লর্ডস টেস্টে গিল বল আসার জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই এগিয়ে গিয়ে খেলছিলেন, যা হয়তো তাঁর আগ্রাসী মানসিকতার কারণে ঘটেছে।
উল্লেখ্য, লর্ডসে গিল দুই ইনিংসে মাত্র ১৬ এবং ৬ রান করেন এবং ভারত ২২ রানে ম্যাচটি হেরে যায়। তবে এজবাস্টনের প্রথম ইনিংসে তিনি দ্বিশতরান করেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রান করে ম্যাচে নিজের আধিপত্য দেখান।