রোহিত শর্মার জোড়া ছক্কা। তা-ও শেষ দু-বলে। আর সেই জোড়া ছক্কাতে ভর করেই ভারত সুপার ওভারে হারাল নিউজিল্যান্ডকে। প্রথমে ব্যাট করে ভারত স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ১৭৯। নিউজিল্যান্ডও নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৭৯-এ থামে।
সুপার ওভারে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ড শুরুতে ব্যাট করে ১৮ তুলেছিল। আর রোহিত শর্মা একাই সাউদিকে জোড়া ছক্কা হাকিয়ে তুললেন ২০ রান।
সিরিজ জেতার ম্যাচে হ্যামিল্টনে খেলতে নেমেছিল ভারত। সেখানেই যে পরতে পরতে নাটকীয় উপাদান ছড়িয়ে থাকবে তা বোঝা যায়নি। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে রোহিত বাদে কোনও ব্যাটসম্যানই আহামরি ব্যাটিং করতে পারেননি।
WHAT A MATCH! ????????#TeamIndia win in super over, take an unassailable lead of 3️⃣ - 0️⃣ in the 5-match series. ???????? #TeamIndia #NZvIND pic.twitter.com/4Lc1AdFZZg
— BCCI (@BCCI) January 29, 2020
আরও পড়ুন হোটেলে ধোনি ‘খুশ’ করেছিলেন এই পাক মডেলকে, ছবিতে রইল অজানা গল্প
১৮০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডকে একা টানছিলেন কেন উইলিয়ামসন। তবে একাই দলকে জয়ের তিরে নিয়ে এসেছিলেন। তবে টার্গেটের মাত্র ২ রান বাকি থাকা অবস্থায় কেন উইলিয়ামসনকে শেষ ওভারে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মহম্মদ শামি। ৪৮ বলে ৯৫ করে যান উইলিয়ামসন। সহজ ম্যাচ সেখান থেকেই হাতছাড়া হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের।
শেষ ৩ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২ রান তুলতে পারেননি রস টেলররা। ১৭৯ রানেই থেমে গিয়েছিল কিউয়িদের ইনিংস।এরপরেই রূদ্ধশ্বাস সুপার ওভার। সেই ওভারে বুমরার ছয় বলে কেন উইলিয়ামসন ফের একবার দলের ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। জোড়া ছক্কা সহ একটি বাউন্ডারিতে স্কোরবোর্ডে নিউজিল্যান্ড তুলেছিল ১৮ রান।
সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারতকে জিতিয়ে দেন রোহিত। নাটকীয়ভাবে। প্রথম ৪ বলে ভারত স্কোরবোর্ডে ৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি। তবে সাউদির শেষ দু-বলে জোড়া ছক্কা হাকিয়ে ভারতকে দুরন্ত জয় এনে দেন রোহিত। প্রথমে ব্যাটিং করে ৬৫ করার পাশাপাশি শেষ ওভারে ৪ বলে ১৫ করে যান হিটম্যান।
রোহিতের পাওয়ার হিটিংয়েই ফের একবার ট্র্যাজিক হিরো কেন উইলিয়ামসন। তাঁর অতিমানবিক ইনিংসও ছারখার রোহিতের ব্যাটের দাপটে। ম্যাচের সেরা রোহিত ছাড়া আর কাউকে বাছা সম্ভব ছিল না।
আরও পড়ুন টিম ইন্ডিয়ার দুই তারকাকে বিয়ে! এই মহিলাকে নিয়ে এখনও অস্বস্তি জাতীয় দলে
টসে হেরে সেডান পার্কে দিন শুরু করেছিল ভারত। ওপেনিং জুটি লোকেশ রাহুল-রোহিত শর্মা জুটি চেনা মেজাজে রান তুলছিলেন স্কোরবোর্ডে। ওপেনিং জুটি ভাঙন ধরান কলিন গ্র্যান্ডহোম। কলিন মুনরোর হাতে ক্যাচ তুলে রাহুল বিদায় নেন ১৯ বলে ২৭ রান করে। তারপরেই ভারতের রান তোলার গতি কিছুটা শ্লথ হয়।
কোহলি তিন নম্বরে না নেমে শিবম দুবেকে প্রমোট করেছিলেন। তবে সেই পজিশনে রান পেলেন না দুবে। ৭ বলে ৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন রোহিতও। হিটম্যান যখন নিশ্চিত শতরানের দিকে এগোচ্ছেন তখন হামিশ বেনেটের বলে সাউদির হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি।
১০ রানের মধ্যে পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে ৪৬ রানের ছোট পার্টনারশিপে কোহলি দলকে বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করেন। তবে শেষ দিকে দু-ওভারের ব্যবধানে ফিরে যান কোহলি ও শ্রেয়স আইয়ার (১৬ বলে ১৭)। মণীশ পাণ্ডে (৬ বলে ১৪) ও রবীন্দ্র জাদেজা (৫ বলে ১০) শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।