প্রথম দু-ম্যাচে রান পাননি। তৃতীয় ম্যাচে অবশেষে রানের দেখা পেলেন হিটম্যান। তাঁর ৬৫ রানে ভর করেই ভারত নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি২০ ম্যাচে স্কোরবোর্ডে ১৭৯ রান খাড়া করল ৫ উইকেটের বিনিময়ে। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ১৮০ রান।
হ্যামিল্টনের সেডান পার্কে রোহিত ছাড়া অর্ধশতরানের গণ্ডি পেরোতে পারেননি কেউই। কোহলি-র ৩৮ ও লোকেশ রাহুলের ২৭ বাদে বলার মতো রান করতে পারেননি কোনও তারকা।
ব্যাটিং অর্ডারে ফের একবার বদলে ফেলেছিলেন কোহলি। নিজের পরিচিত তিন নম্বর নয়। চার নম্বরে নেমে গিয়েছিলেন তিনি। চার নম্বরে নেমে পুরনো মেজাজের কোহলিও হাওয়া। ২৭ বলে ৩৮ রান করলেও হাফসেঞ্চুরির গণ্ডি পেরোতে পারেননি তিনি।
টসে হেরে সেডান পার্কে দিন শুরু করেছিল ভারত। ওপেনিং জুটি লোকেশ রাহুল-রোহিত শর্মা জুটি চেনা মেজাজে রান তুলছিলেন স্কোরবোর্ডে। ওপেনিং জুটি ভাঙন ধরান কলিন গ্র্যান্ডহোম। কলিন মুনরোর হাতে ক্যাচ তুলে রাহুল বিদায় নেন ১৯ বলে ২৭ রান করে। তারপরেই ভারতের রান তোলার গতি কিছুটা শ্লথ হয়।
কোহলি তিন নম্বরে না নেমে শিবম দুবেকে প্রমোট করেছিলেন। তবে সেই পজিশনে রান পেলেন না দুবে। ৭ বলে ৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন রোহিতও। হিটম্যান যখন নিশ্চিত শতরানের দিকে এগোচ্ছেন তখন হামিশ বেনেটের বলে সাউদির হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি।
১০ রানের মধ্যে পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে ৪৬ রানের ছোট পার্টনারশিপে কোহলি দলকে বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করেন। তবে শেষ দিকে দু-ওভারের ব্যবধানে ফিরে যান কোহলি ও শ্রেয়স আইয়ার (১৬ বলে ১৭)। মণীশ পাণ্ডে (৬ বলে ১৪) ও রবীন্দ্র জাদেজা (৫ বলে ১০) শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।
ভারত এদিন আগের ম্যাচের একাদশই অপরিবর্তিত রেখেছে। নিউজিল্যান্ড একাদশে একটি পরিবর্তন- স্কট কুগলেইজেন খেলবেন ব্লেয়ার টিকনারের জায়গায়।