ফের টসে হারল ভারত। টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিল নিউজিল্যান্ড। আগের ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করতে গিয়েছিল কিউয়িরা। এদিন সেডান পার্কে অবশ্য ফিল্ডিংয়ের পথে হাঁটলেন ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসন। অর্থাৎ শুরুতে বড় রান স্কোরবোর্ডে তুলে নিউজিল্যান্ডে চাপে ফেলার রণকৌশল নিতে হবে ভারতকে।
আগের ভেন্যুতে দুটো ম্যাচেই হেরেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে ভারত প্রথম ব্য়াটিং করেছিল, দ্বিতীয় ম্যাচে উলটোটা। তবে হ্যামিল্টনে এসে নতুন পিচে বোলিংয়ের করার কথা ঘোষণা করে কিউয়ি নেতা উইলিয়ামসন জানালেন, "নতুন সারফেসে প্রাথমিকভাবে আমাদের বোলাররা সাহায্য পাবেন আশা করছি।" কোহলি আবার কেন উইলিয়ামসনের সিদ্ধান্তে সহমত হয়ে জানালেন তিনি টসে জিতলে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্তই নিতেন।
এদিকে, ভারত আগের ম্যাচের একাদশই অপরিবর্তিত রাখল। অর্থাৎ টানা তিনটে ম্যাচে প্রথম একাদশে কোনও পরিবর্তন ছাড়াই খেলবে ভারত। ঋষভ পন্থ, সঞ্জু স্যামসন কিংবা কুলদীপ যাদবের কিউয়ি সফরে অপেক্ষা বাড়ল। নিউজিল্য়ান্ডের একাদশে একটি পরিবর্তন হয়েছে, স্কট কুগলেইজেন খেলবেন ব্লেয়ার টিকনারের জায়গায়।
হ্যামিল্টনের সেডান পার্কে এবার মঙ্গলবার জিতলেই জোড়া প্রতিশোধ নেবেন কোহলিরা। ২০০৮-০৯ এ ধোনির ভারতকে দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করেছিল কিউয়িরা। গত বছর তিন ম্যাচের সিরিজে আবার কোহলিদের ২-১ এ হারতে হয়েছিল।
যাইহোক, তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামার আগে দলের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর প্রশংসা করেছেন শ্রেয়স আইয়ারের। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “তরুণ ক্রিকেটার শ্রেয়স আইয়ার ও লোকেশ রাহুলকে দেখার পরে আমার কোনও সন্দেহ নেই ওরা দু-জনেই ম্যাচ উইনার। ওরা সুযোগ পেয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দিচ্ছে ওরা কী করার ক্ষমতা রাখে।”
এর সঙ্গে রাঠৌরের সংযোজন, “শ্রেয়সের ব্যাটিং স্কিল তো বটেই, ওর মানসিকভাবেও যথেষ্ট শক্তিশালী। ও যে বড় ক্রিকেটার সেই বিশ্বাসটা ওর মধ্যে রয়েছে। ও বিশ্বাস করে ও ম্যাচ উইনার এবং দেশের ক্রিকেটে বহুদিন খেলবে। এই মানসিকতাই ওকে সাহায্য করছে।”