ব্য়াটসম্য়ানরা হিরোর ভূমিকা নিয়েছে। তবে বোলাররাও কম যান না। এমনটাই জানাচ্ছেন স্বয়ং বিরাট কোহলি। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই রোহিত, পূজারারা ভাল খেলার পরে অশ্বিন, জাদেজা এবং শামির কাছে কার্যত দুই ইনিংসে প্রোটিয়াজ ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেনি। কার্যত এক সেশন বাকি থাকতেই ভারত প্রথম টেস্টে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। তারপরেই সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বোলারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্যাপ্টেন কোহলি।
সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি বোলারদের ভূমিকার কথা আলাদা করে উল্লেখ করলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। বলে দিলেন, "শামি, ইশান্ত, জসপ্রীত বুমরা, উমেশ যাদব ধারাবাহিকভাবে জাতীয় দলের জার্সিতে ভাল খেলে চলেছে। কণ্ডিশন কঠিন হলেও প্রচেষ্টার ইচ্ছেটাই বাকিদের থেকে পৃথক করে দেয়। বরাবরের মতো জাড্ডু আর অ্যাশ (জাদেজা এবং অশ্বিন) দারুণ বোলিং করল। পিচ একদম ফ্ল্যাট ছিল। ওরা কিছু বাউন্ডারিও হজম করেছে। তবে আমরা সবসময়েই জানতাম দ্বিতীয় ইনিংসের উইকেট এটা। দ্বিতীয় ইনিংসে শামি দলের প্রধান বোলারের ভূমিকা নিয়েছে। প্রত্যেকেই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করেছে।"
বোলাররা কঠিন পরিস্থিতিতে কেমন বোলিং করেছেন, সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে যেন থামতেই চান না কোহলি। তিনি বলেই চলেছিলেন, "ব্যাটিং ভারতের জয়ে সহায়ক হবে, সেই বিষয়ে প্রত্যেকেই নিশ্চিত ছিল। তবে বোলাররা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। গতবারের এসজি বলের তুলনায় এই বল অনেক কার্যকর। ৪০-৪৫ ওভারের পরে সাধারণত বোলারদের জন্য কিছুই পড়ে ছিল না।"
যথারীতি বিরাট রোহিত শর্মাকেও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। দুই ইনিংসেই শতরান করেছেন। একের পর এক নজির ভেঙেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র সীমিত ওভারের ক্রিকেট নয়, পাঁচ দিনের ক্রিকেটেও তিনি রাজত্ব্য করতে পারেন। তাই কোহলি নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের জল্পনা উড়িয়ে প্রকাশ্য়ে বলে দিচ্ছেন, "রোহিত দুর্ধর্ষ ছিল। মায়াঙ্কও ব্রিলিয়ান্ট। এমন পিচে রান করা যথেষ্ট কৃতিত্বের। কারণ যত সময় গড়াচ্ছিল, ততই পিচ স্লো হয়ে পড়ছিল। এসব ক্ষেত্রে অ্যাটিটিউড ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।" পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, "ভারতীয় পিচে বোলিং করার সময়ে পেসার যদি ভাবে স্পিনাররাই সমস্ত কিছু করবে, তাহলে প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়ার বিষয়টি কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।"
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিস বলছেন, "আমরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলাম, তবে চেতেশ্বর পূজারা এবং রোহিত শর্মা আমাদের কাছ থেকে খেলা ছিনিয়ে নিল।"
Read the full article in ENGLISH