India vs Bangladesh: পেসারদের দাপটে তিন দিনেই ইন্দোর টেস্ট জিতে নিল ভারত

ইন্দোর টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালেই টের পাওয়া গিয়েছিল যে, হাতে দু'দিন বাকি থাকতেই ভারত জয়ের স্বাদ পেয়ে যাবে। আর ঠিক সেটাই হলো শনিবার বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩০ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।

ইন্দোর টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালেই টের পাওয়া গিয়েছিল যে, হাতে দু'দিন বাকি থাকতেই ভারত জয়ের স্বাদ পেয়ে যাবে। আর ঠিক সেটাই হলো শনিবার বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩০ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
india beats bangladesh in indore test

পেসারদের দাপটে ইন্দোর টেস্ট জিতে নিল ভারত (ছবি-টুইটার, বিসিসিআই)

বাংলাদেশ ১৫০ এবং ২১৩ (৬৯.২ ওভার)

Advertisment

ভারত ৪৯৩/৬ ডিক্লেয়ার

ইনিংস ও ১৩০ রানে জয়ী ভারত

ইন্দোর টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালেই টের পাওয়া গিয়েছিল যে, হাতে দু'দিন বাকি থাকতেই ভারত জয়ের স্বাদ পেয়ে যাবে। আর ঠিক সেটাই হলো। শনিবার বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩০ রানে হারিয়ে দু'ম্য়াচের টেস্ট সিরিজে ভারত ১-০ এগিয়ে গেল।

Advertisment

ময়ঙ্ক আগরওয়াল ব্য়াট হাতে শাসন করেছিলেন দ্বিতীয় দিনে। আর এদিন ভারতীয় পেসারদের দাপটে ম্য়াচ পকেটে পুরে নিল বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং।

আরও পড়ুন-India vs Bangladesh: ‘জোড়া ছক্কা’, ইন্দোরে লজ্জার রেকর্ড দুই বাংলাদেশি ওপেনারের

গতকালের পর আর এদিন ব্য়াট করতে নামেনি ভারত স্কোরবোর্ডে ৪৯৩/৬ নিয়েই প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে।শনিবার ৩৪৩ রানে পিছিয়েই ব্য়াট করতে নামে বাংলাদেশ। এদিন ব্য়াট করতে নেমে শুরুতেই জোড়া উইকেট হারিয়ে ফেলে পদ্মাপারের দেশ।


শদমান ইসলাম ও ইমরুল কায়েসের ওপেনিং জুটি ১৬ রানের মধ্য়েই প্য়াভিলিয়নে ফিরে যায়। শদমানকে ৬ রানে ক্লিন বোল্ড করে দেন ইশান্ত শর্মা। ইমরুল কায়েসও এই একই রানে উমেশ যাদবের বলে বোল্ড হন। অধিনায়ক মোমিনুল হক ও মহম্মদ মিঠুনকেও তাড়াতাড়ি ক্রিজের মায়া কাটাতে হয়। অধিনায়ক মোমিনুলকে মাত্র সাত রানে এলবিডব্লিউ আউট করে দেন  শামি। মিঠুনও ফেরেন শামির বলে ময়ঙ্কের হাতে ক্য়াচ তুলে। ১৮ রান করেন তিনি।মধ্য়াহ্ণ ভোজের বিরতিতেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন-ময়ঙ্কের ডাবল সেঞ্চুরিতে যে ৫টি রেকর্ড ভাঙল ইন্দোরে

এরপর পাঁচে ব্য়াট করতে আসা মুশফিকুর রহিম একা বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা চালিয়ে যান। লিটন দাসকে নিয়ে বাংলাদেশের হাল ধরার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু লিটনকে ফিরিয়ে দেন আর অশ্বিন। ৩৫ রানে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যান তিনি।

লিটন ফেরার পরে মেহদি হাসান মিরাজকে নিয়ে মুশফিকুর তাঁর সংগ্রাম চালিয়ে যান। উমেশ যাদবের মিরাজকে ৩৫ রানেই ক্লিন বোল্ড হয়ে যেতে হয়। আর এরপর মুশফিকুরের ব্যাট থামে ৬৪ রানে। মুশফিকুর ফেরার সঙ্গেই সঙ্গেই বাংলাদেশের হার এক ঝটকায় তরাণ্বিত হয়ে যায়। ২১৩ রানে গুটিয়ে যায় তাঁদের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে শামি একাই নিয়েছেন চার উইকেট। দু'টি করে উইকেট উমেশ ও অশ্বিনের। একটি উইকেট ইশান্তের।

ভারতকে দ্বিতীয় দিনে কার্যত একাই টেনেছিলেন ময়ঙ্ক । স্কোরবোর্ডে ২৪৩ যোগ করে যান তিনি। মায়াঙ্কের সৌজন্য়ে ভারত রানের পাহাড়ে উঠে যায়। ময়ঙ্কের পরেই বলতে হবে অজিঙ্ক রাহানের কথা। মাত্র ১৪ রানের জন্য় বাঁধা শতরান মাঠে রেখে আসেন তিনি। প্রথম দিন শেষবেলায় ব্যাট করতে নেমে ভারত রোহিতের উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল। দ্বিতীয় দিনে ভারতের মাত্র ৫টি উইকেট তুলতে পেরেছিল বাংলাদেশ।

আগামী ২২ নভেম্বর ভারত-বাংলাদেশ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি অনুষ্ঠিত হবে কলকাতায়। ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত হবে ভারতের প্রথম গোলাপি বলের দিন-রাতের টেস্ট। তার আগে বিরাট-মোমিনুলদের হাতে দিন ছয়েকের বিশ্রাম। বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার পর ভারতে খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ডিসেম্বরে দুই দেশের মধ্য়ে তিনটি টি-২০ ও তিনটি ওয়ান-ডে ম্য়াচ অনুষ্ঠিত হবে।

Bangladesh BCCI India