Shahid Afridi Controversial Statement: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্কে আরও বেশি করে দুরত্ব তৈরি হয়েছে। এই হামলায় ২৬ জন নিরাপরাধ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছে ভারতীয়রা।
নিহত ব্যক্তিরা যাতে সুবিচার পান, আপাতত গোটা ভারত জুড়ে সেই দাবিই উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি এমন একটি মন্তব্য করেছেন, যা শুনলে আপনার রক্তও গরম হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন -
Virat Kohli on Pahalgam Terror Attack: 'কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি চাই...'. পাহেলগাঁও নারকীয় হত্যাকাণ্ডে ক্ষুব্ধ বিরাট
পহেলগাঁও হামলার প্রমাণ চাইলেন শাহিদ আফ্রিদি
আসলে, পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি এখন পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রমাণ চাইছেন। তাঁর কথায়, ভারত নাকি কোনও প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। সম্প্রতি শাহিদ আফ্রিদি বলেছেন, 'এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা যে ভারত ফের একবার বিনা কারণে পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। এই তো সবেমাত্র হামলা হল। আর সঙ্গে সঙ্গে ভারত এই ঘটনায় পাকিস্তানকে দোষী সাব্যস্ত করতে চাইছে। এই ধরনের ঘটনায় উত্তেজনা বাড়ে। সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে অশান্তিও।'
আরও পড়ুন -
Sourav Ganguly: কাশ্মীরে নারকীয় হত্যাকাণ্ড, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সৌরভ! জানালেন সমবেদনা
দেখে নিন ভিডিও:
আলোচনার মাধ্যমেই মিলবে সমাধান
শাহিদ আফ্রিদি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে এই সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও যোগাযোগ নেই। একমাত্র আলোচনার পথে হাঁটলেই পাওয়া যাবে সমাধান সূত্র। আফ্রিদির কথায়, 'অভিযোগ এবং পালটা অভিযোগের খেলায় না মেতে উঠে ভারতের উচিত এই ব্যাপারে আলোচনা করা। কারণ একমাত্র আলোচনার পথে হাঁটলেই পাওয়া যাবে সমাধান সূত্র। ক্রিকেটকে কখনই রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া উচিত হবে না। হিংসা এবং অভিযোগ, পালটা অভিযোগে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে। ক্রিকেট খেলায় কখনই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ উচিত নয়।'
আরও পড়ুন -
Pahalgam Attack Babar Azam Connection: পহেলগাঁও হামলায় জড়িত বাবর আজম? জেনে নিন আসল সত্যিটা
পুলওয়ামার পর সবথেকে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা
বলা হচ্ছে, পুলওয়ামা কাণ্ডের পর এটাই নাকি ভারতের মাটিতে সবথেকে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ চালানো হয়েছিল। এই ঘটনায় দেশের ৪০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। হামলার দায় স্বীকার করেছিল জইশ-ই-মহম্মদ। তবে পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈবার শাখা দ্য রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট (TRF)।