দিল্লির হারের বদলা ভারত সুদে আসলে পুষিয়ে নিয়েছে রাজকোটে। এবার নাগপুরে আরও একবার বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করে সিরিজ জেতাই লক্ষ্য় টিম ইন্ডিয়ার। দিল্লির মতোই রাজকোটেই শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ৭ ওভারে স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশ ৫৯ তুলে ফেলেছিল বিনা উইকেটে। সেখান থেকে ভারতীয় স্পিনারদের জালে জড়িয়ে ১৫৩-র বেশি স্কোরবোর্ডে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রোহিতের ঝড়ের কাছে কার্যত উড়ে গিয়েছে বাংলাদেশি বোলারদের যাবতীয় প্রতিরোধ।
রোহিতের ব্যাটেই টিম ইন্ডিয়ার আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। ভারতীয় দলের স্পিনাররা মেলে ধরছেন প্রতি ম্যাচেই। তবে সিমাররা এখনও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করে দেখাতে পারেননি। খলিল আহমেদকে দিল্লির পরে রাজকোটে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে খলিল শোচনীয় পারফরম্যান্স অব্যাহত রেখেছেন। ফিরোজ শাহ কোটলায় চার ওভারের কোটায় ৩৭ রান খরচ করার পরে রাজকোটে ৪ ওভারে ৪৪ রান বিলিয়ে চরম সমালোচিত হয়েছেন। নাগপুরে খলিলের জায়গায় শার্দুল ঠাকুরকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন India Vs Bangladesh: রাজকোটে সাইক্লোন রোহিত, সিরিজে সমতায় ফিরল ভারত
ব্যাটিংয়েও টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তা বাড়াচ্ছেন অনেকে। ওপেনিংয়ে ধাওয়ান ব্যাটে রান পেলেও টি২০ সুলভ মেজাজে মোটেই খেলতে পারছেন না। কোহলির অনুপস্থিতি ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মিডল অর্ডার এখনও সেভাবে পরীক্ষিত নয়।
তারুণ্য়ে নির্ভর ভারতীয় দলের বিপক্ষে অবশ্য সিরিজ জয়ের আশা দেখছে বাংলাদেশও। সেক্ষেত্রে রোহিতকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশের সমস্ত স্ট্র্যাটেজি আবর্তিত হচ্ছে। নাগপুরের পিচ প্রথাগতভাবেই স্লো বোলারদের উপযোগী। স্লো টার্নার পিচে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে আটকে দেওয়ার ছক কষছে ওপার বাংলার ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুন India Vs Bangladesh: মাইলস্টোন ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস লিখল বাংলাদেশ
বাংলাদেশের প্রধান চিন্তা তাদের ব্যাটিং। ব্যাটসম্যানরা ভাল শুরু করেও ইনিংসকে বড় রানে পূর্ণতা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যাটিংয়ের নিউক্লিয়াস আবার সিনিয়র মোস্ট মুশফিকুর রহিম। তামিম, শাকিবের অনুপস্থিতিতে মুশফিকুরই বাংলাদেশি ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা। যদিও তিনি রাজকোটে বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি।
প্রথম দুই ম্যাচই আয়োজন নিয়ে শঙ্কা ছিল। দিল্লিতে দূষণ এবং রাজকোটে ঘূর্ণিঝড়ে ম্যাচ হওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। যদিও দুই ভেন্যুতে নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে ম্যাচ। তবে নাগপুরে আবহাওয়া নিয়ে কোনও সংশয়ই নেই। আকাশ পরিষ্কার থাকবে। ছিটেফোঁটা মেঘেরও দেখা মিলবে না। বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের জামথা স্টেডিয়াম বরাবরই স্লো বোলারদের সাহায্য করে। পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে যে ১১টি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচে খেলা হয়েছে নাগপুরে, প্রথমে ব্যাটিং করা দল জিতেছে ৮বার।
Read the full article in ENGLISH