ইংল্যান্ডের মাটি থেকে রেকর্ড গড়েও সিরিজ জিততে পারল না ভারত। জনি বেয়ারস্টো, জো রুট দুজনেই শতরান হাঁকিয়ে ভারতকে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় থেকে ছিটকে দিল। বার্মিংহ্যাম টেস্টে ভারত খেলতে নেমেছিল সিরিজে ২-১ এগিয়ে। সিরিজ খোঁয়ানোর আশঙ্কা না থাকলেও জয়ের জন্য ঝাঁপিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। জয় অথবা ড্র হলেই সিরিজ দখলে নিত ভারত। তবে তা হল না।
হাতে সাত উইকেট নিয়ে বড়সড় টার্গেট চেজ করে জয় ছিনিয়ে নিল ইংল্যান্ড। কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারস্টো এবং জো রুট দুজনেই শতরান করে ভারতকে রিংয়ের বাইরে ছিটকে দিলেন। ভারতকে হারিয়ে সিরিজ আপাতত ২-২ ফলাফলে অমীমাংসিত থাকল।
আরও পড়ুন: অশ্রাব্য, কুৎসিত গালি সিরাজ-শার্দূলদের! মাঠ-মাঠের বাইরে চূড়ান্ত নোংরামি ভারতীয়দের সঙ্গে
এজবাস্টনে ভারতকে প্ৰথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের দলনেতা বেন স্টোকস। প্ৰথম ইনিংসে ভারতের টপ অর্ডার জেমস আন্ডারসন এবং নবাগত ম্যাথু পটসের সামনে ধসে পড়েছিল। পূজারা, শুভমান গিল অল্প রানে আউট হওয়ার পরে ভারত দ্রুত হনুমা বিহারি, বিরাট কোহলি ফিরে যান।
তবে এরপরেই ঐতিহাসিক কামব্যাক করে ভারত ঋষভ পন্থ এবং রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাটে ভর করে। দুজনে ২২২ রানের পার্টনারশিপে দলকে চালকের আসনে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। পন্থ, জাদেজা জোড়া শতরান করে যাওয়ার পরে ভারতকে বিশাল রেকর্ডের স্বাদ দেন ক্যাপ্টেন বুমরা। স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে পিটিয়ে ছাতু করে ৩৫ তোলেন। সবমিলিয়ে ভারত স্কোরবোর্ডে ৪১৬ তুলে দিয়েছিল প্ৰথম ইনিংসে।
দলের স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেন বুমরা টেস্টের একই ওভারে সবথেকে বেশি রান তোলার নিরিখে ব্রায়ান লারার রেকর্ড যেমন চূর্ণ করলেন, তেমনই দুই ইনিংস মিলিয়ে নিলেন ৭ উইকেট। মহম্মদ সিরাজের দখলেও ৭ উইকেট।
আরও পড়ুন: মাঠেই জ্বলল আগুনের ফুলকি! মুখে আঙুল দিয়ে বেয়ারস্টোকে চুপ করালেন কোহলি, দেখুন ভিডিও
তবে লোয়ার অর্ডারের এই দুরন্ত কামব্যাক বৃথা হয়ে গেল ভারত দ্বিতীয় ইনিংসেও একইভাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ায়। পূজারা (৬৬) এবং পন্থ (৫৭) বাদে কেউই ব্যাট হাতে সামান্যতম প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারেননি। ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৪৫ রানে আটকে গিয়েছিল।
অন্যদিকে প্ৰথম ইনিংসে ইংল্যান্ডও লোয়ারের অর্ডারের দক্ষিণ্যে চ্যালেঞ্জিং স্কোর খাড়া করে। বেয়ারস্টো দুরন্ত শতরানে দলকে পাল্টা লড়াইয়ের মঞ্চ দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও একসময় ভারত পরপর উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরে এসেছিল। তবে রুট-বেয়ারস্টো-র পার্টনারশিপ থামিয়ে দিল ভারতকে। চতুর্থ দিনের শেষেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ হারাতে চলেছে ভারত। রুট-বেয়ারস্টো দুজনেই ৭০-এর ওপর ব্যক্তিগত স্কোরে নট আউট থেকে ক্রিজ ছেড়েছিলেন। পঞ্চম দিন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২০-রও কম টার্গেট। প্ৰথম সেশনেই সেই টার্গেট পূর্ণ করে ভারতকে হারিয়ে দিলেন রুট-বেয়ারস্টো। দুজনেই হাঁকিয়ে গেলেন সেঞ্চুরি।