দ্রুত জোড়া উইকেট হারালেও ইংল্যান্ডকে টানছিলেন রুট এবং ওপেনার হাসিব হামিদ। হামিদ হাফসেঞ্চুরি করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে শেষমেশ জাদেজার ঘূর্ণির শিকার হতে হল তাঁকে। পিচের একপ্রান্তে ক্ষত তৈরি হয়েছিল। সেই ক্ষত ধরেই বল করে যাচ্ছিলেন জাদেজা।
আর সেই ক্ষতয় বল করেই বড়বড় টার্ন আদায় করে নিচ্ছিলেন তারকা স্পিনার। আর এমনই এক ঘূর্ণি প্যাভিলিয়নে ফেরালো হামিদকে। লেগ স্ট্যাম্পে বল পিচ করেছিলেন জাদেজা। হামিদও ফ্রন্টফুট এগিয়ে দেন। তবে বল অনেকটা টার্ন করে অফস্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। ৬৩ করেই ফিরতে হয় হামিদকে।
যাইহোক, এদিন প্ৰথম সেশনেই জোড়া উইকেট তুলে নিয়েছিল ইন্ডিয়া। ১০০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ ভেঙে ইংরেজ ব্যাটিং অর্ডারে পতনের সূচনা করেছিলেন শার্দূল ঠাকুর। রোরি বার্নসকে (৫০) ফিরিয়ে। এরপরে হাসিব হামিদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দাভিদ মালানও। লাঞ্চের সময় ক্রিজে ব্যাটিং করছিলেন হাসিব হামিদ এবং জো রুট।
আর দ্বিতীয় সেশনেই জাদেজা-বুমরার হাতে লাঞ্ছিত ইংল্যান্ড। দুজনেই জোড়া উইকেট শিকার করেছেন শেষ আপডেট অনুযায়ী। লাঞ্চের পরেই জাদেজার ঘূর্ণিতে বোল্ড হন হামিদ। ঠিক তারপরেই বুমরার শিকার অলি রবিনসন। সরাসরি ইংল্যান্ড তারকাকে বোল্ড করে দেন তিনি। মাঝে জাদেজা মঈন আলিকে (০) ফিরিয়ে দেন।
অলি রবিনসনকে ফেরানোর পরের ওভারেই বুম বুম বুমরা শিকার জনি বেয়ারস্টো। ১৪৩ কিমির ইয়র্কার রুখতে পারেননি বেয়ারস্টো। বিনা উইকেটে ১০০ থেকে ইংল্যান্ড ১৪৭/৬ হয়ে যায়। স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান যোগ করার ফাঁকেই ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারে ধস নেমে গিয়েছে।
টি ব্রেকে ইংল্যান্ড ১৯৩/৮। শেষ সেশনে জয়ের জন্য ভারতের দরকার জোড়া উইকেট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন