ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে প্রমোট করেছিলেন। সরাসরি ওপেন করতে নেমেছিলেন কেএল রাহুলকে বাইরে রেখে। রোহিতের সঙ্গে তাঁর সেই ওপেনিং পার্টনারশিপেই কেল্লাফতে। ৯৪ রানের জুটিতে সেই যে মোমেন্টাম পেয়ে গেল ভারত, তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
ম্যাচের পরে কোহলি তাই বলে দিলেন, টি২০ বিশ্বকাপে আগামী দিনে রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে চান তিনি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতেই আইপিএলেও ওপেন করতে দেখা যাবে মহাতারকাকে। এমনই জানিয়ে দিলেন তিনি।
আরো পড়ুন: আউট হতেই কুকথা বাটলারের, ফুঁসে উঠে তেড়ে গেলেন কোহলি, দেখুন মারাত্মক ভিডিও
ম্যাচের পরেই কোহলি বলে যান, "আইপিএলেও ওপেন করতে দেখা যাবে আমাকে। অতীতেও একাধিক পজিশনে ব্যাটিং করেছি। এই মুহূর্তে আমাদের মিডল অর্ডার বেশ শক্তপোক্ত। রোহিতের সঙ্গে টপ অর্ডারে জুটি বাঁধার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।"
রোহিত শর্মাও ম্যাচের পরে জানিয়ে দিয়েছেন, দলের প্রয়োজন হলে, কোহলির সঙ্গে ওপেন করতে অসুবিধা নেই তাঁর। কোহলি নিজের যুক্তি বোঝাতে গিয়ে বলেছেন, "দুজন সেরা ব্যাটসম্যান একই দলে। এক সঙ্গে ওপেন করলে একজন যদি বল ওড়াতে থাকে, অন্যজন ধীরস্থির ভাবে ইনিংস গড়ার কাজ করতে পারবে। এতে প্রতিপক্ষ দলের ওপর আরো চাপ বাড়বে। আমাদের মধ্যে কোনো একজন টিকে গেলে ব্যাটিং অর্ডারের বাকিরাও অনেক ভরসা পাবে।"
আরো পড়ুন: টি-২০’র সেরার সেরা ক্যাচ নাকি এটাই, নিজের চোখকেই অবিশ্বাস সূর্যকুমারের, দেখুন ভিডিও
শনিবার যে জুটিতে ইংরেজ বধের প্রাথমিক সূত্রপাত, সেই জুটির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ক্যাপ্টেন বলে দিয়েছেন, "এদিন প্রথম থেকেই আমি আর রোহিত পজিটিভ ছিলাম। আমরা জানতাম একজন হাঁকাতে থাকলে অন্যজন ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেবে। শনিবারের ইনিংস ছিল ক্ল্যাসিক রোহিত শর্মার ইনিংস। তারপর তিনে সূর্যকুমার যাদব এসে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে ম্যাচ আরো দূরে নিয়ে গেল। তারপর হার্দিকের ফিনিশিং। সবকিছুই দলের জয়ে কাজে এসেছে।"
পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজে কোহলি সেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা পেলেন। ১১৫.৫০ গড়ে করলেন ২৩১ রান। সিরিজ জেতার ম্যাচের কথা বলতে গিয়ে উদ্বেল হয়ে যান তিনি, "এদিন ম্যাচটা পুরোটাই আমাদের ছিল। প্রতিপক্ষ কার্যত দাঁড়াতেই পারেনি। শিশির পড়া সত্ত্বেও আমরা আগের ম্যাচের মতোই নিজেদের রান ডিফেন্ড করতে পারলাম। ঋষভ এবং আইয়ার ব্যাট করার সুযোগ না পেলেও আমরা ২২৪ করতে অসুবিধা হয়নি। এতেই আমাদের ব্যাটিং গভীরতা বোঝা যায়।"
দলের অন্যান্যদেরও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন কোহলি, "প্রথম ম্যাচে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করার পরে চতুর্থ ম্যাচেও শ্রেয়স আইয়ার নিজের দক্ষতা প্রমাণ করল। ঈশান কিষান একদম ব্রিলিয়ান্ট। তবে আমি সূর্যকুমারে মুগ্ধ। ভুবনেশ্বর কুমার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেই দুরন্ত বোলিং করে গেল। এখনো দলে জসপ্রীত বুমরা খেলবে। গোটা সিরিজেই পন্থ আরো পরিণতিবোধ দেখিয়েছে। দলের কোনোকিছুই নেতিবাচক নেই। অস্ট্রেলিয়ায় দারুণ পারফরম্যান্সের পর শার্দুল ঠাকুরের আত্মবিশ্বাস চূড়ায়। বল হাতে ওঁর সবথেকে বড় অস্ত্র নিজের ওপর বিশ্বাস। ব্যাট হাতেও দলকে রান উপহার দিয়েছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন