রোহিত শর্মা ছিলেন না। আর কোহলি রান পাননি। রোহিত-কোহলি ছাড়া যে ভারতের ব্যাটিং কতটা অসহায় তা ফের একবার প্রকট হল ওয়েলিংটনের স্কাই স্টেডিয়ামে। চতুর্থ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ব্যাটিং থমকে গেল ১৬৫ রানে। ৮ উইকেট হারিয়ে কোনওরকমে দেড়শো পেরোল ভারতের ইনিংস। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সামনে টার্গেট ১৬৬। মণীশ পাণ্ডে (৩৬ বলে ৫০) ও লোকেশ রাহুল (৩৯) বাদে ভারতের হয়ে কেউ বলার মতো খেলতে পারেননি।
টসে হারার ট্র্যাডিশন বজায় রেখে ভারত এদিনও সেই ফর্ম অক্ষুণ্ণ রেখেছিল। আগের মতোই কিউয়িরা ব্যাটিং নিয়েছিল। কেন উইলিয়ামসন এদিন কাঁধে চোটের কারণে খেলতে নামেননি। তাঁর পরিবর্তে কিউয়িদের নেতা টিম সাউদি।
সিরিজ জয় সম্পন্ন। ভারত এদিন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পথে হেঁটে তিনজনকে বিশ্রাম দিয়েছে। রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজা এবং মহম্মদ শামিকে বসিয়ে প্রথম একাদশে এদিন খেলানো হচ্ছে সঞ্জু স্যামসন, নভদীপ সাইনি এবং ওয়াশিংটন সুন্দরকে। পন্থের সুযোগ এদিনও মেলেনি।
তবে সঞ্জু স্যামসন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে সেই হতাশ করলেন। ৫ বলে ৮ রান করে কুগ্লেজেনের বলে স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি। এরপর কোহলি (১১), শ্রেয়স আইয়ার (১), দুবে (১২) কেউ ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। লোকেশ একপ্রান্তে টিকে ২৬ বলে ৩৯ করে যান।
৮৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত একসময় বিপদে পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে মণীশ পাণ্ডে (৫০) ও শার্দুল ঠাকুরের (২০) সপ্তম উইকেটে ৪৩ রানের জুটি ভারতকে বিপদের হাত থেকে বাঁচায়। শার্দুল ২০ করে বিদায় নিলেও মণীশ পাণ্ডে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন।