ভারত: ১৬৯/৬
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৮৭/৯
প্ৰথম দুই ম্যাচে সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। বাদ পড়ার কথা উঠে গিয়েছিল। উমরান মালিক, আর্শদীপ সিংয়ের মত তরুণ তুর্কিরাও যে বসে রয়েছে। তবে আবেশ খান রাজকোটে শুক্রবার দেখিয়ে ডিলেনজ দল কেন তাঁর ওপর ভরসা রাখতে পারে। আবেশ খান শুক্রবার জ্বলে উঠলেন ৪টে উইকেট নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভারত ৮২ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-২ করে সমতা ফিরিয়ে আনল।
ভারতের ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়াজরা ফের একবার দুদ্দারিয়ে ভেঙে পড়ল মাত্র ৮৭ রানে। রাসি ভ্যান দার ডুসেন ২০ না করলে আরও বড় লজ্জায় পড়ত দক্ষিণ আফ্রিকা।
অথচ ভারতের রান চেজ করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুটা খারাপ করেনি। ডিকক-বাভুমা জুড়ি ভালো শুরু করে। তবে রান নিতে গিয়ে ডাইভ দিয়ে হাতে চোট পেয়ে উঠে যেতে বাধ্য হন। তারপরেই যেন তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে প্রোটিয়াজদের ইনিংস।
আরও পড়ুন: ৫০ ওভারে অবিশ্বাস্য ৪৯৮! মাঠে তুফান তুলে ODI-র ইতিহাসে সর্বসেরা স্কোর ইংরেজদের
পরপর দু-ওভারে আউট হয়ে যান কুইন্টন ডিকক এবং ডোয়েন প্রিটোরিয়াস। নিজেদের মধ্যে মারাত্মক ভুল বোঝাবুঝিতে ডিকককে রান আউট হয়ে ফিরতে হয়। ঠিক তার পরের ওভারেই আবেশ খানের বল কানায় লাগিয়ে পন্থের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন প্রিটোরিয়াস। এরপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া ভ্যান দার ডুসেনকে তো বটেই, আবেশের শিকারের তালিকায় এদিন মার্কো জ্যানসেন, কেশব মহারাজও। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে ৪ শিকার তারকার। চাহালও এদিন দুজনকে আউট করেন।
তার আগে টসে হেরে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতও একসময় বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছিল। পাওয়ার প্লে-র শেষ না হতেই ভারত টপ অর্ডারের তিন তারকাকে হারিয়ে ৪০/৩-এ রীতিমত ধুঁকছিল। রুতুরাজ গায়কোয়াড (৫), শ্রেয়স আইয়ার (৪)কে শুরুতেই ফিরিয়ে বড়সড় ঝটকা দিয়েছিলেন এনগিদি, মার্কো জ্যানসেনরা। ক্যাপ্টেন পন্থ এদিনও মাত্র ১৭ করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। পঞ্চম উইকেটে দীনেশ কার্তিক এবং হার্দিক পান্ডিয়া ভারতকে এরপরে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: মাত্র ৩ রানের জন্য হাতছাড়া হয় সেঞ্চুরি! বিষ্ফোরক পন্থের অভিযোগের আঙ্গুল পূজারার দিকে
কার্তিক ২৭ বলে মারমার কাটকাট ব্যাটিংয়ে ৫৫ করে যান নয়টা বাউন্ডারি, দুটো ওভার বাউন্ডারি সমেত। হার্দিক ৩১ বলে ৪৬ করেন। তিনটে করে চার এবং ছক্কা হাঁকান।
আইপিএলে দুর্ধর্ষ ফর্মে থাকা দুই তারকা ৬৫ রান যোগ করে ম্যাচের ফারাক গড়ে দেন। শেষদিকে পরপর দুই ওভারে হার্দিক, কার্তিক আউট হয়ে গেলেও ভারতের বড় রান হওয়া আটকায়নি।