শ্রীলঙ্কা সফরেই ক্রুনাল পান্ডিয়া করোনা আক্রান্ত হন। সেই সঙ্গে আরও আটজনকে আইসোলেশনে কাটাতে হয়েছিল। সেই ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। শ্রীলঙ্কা সফর শেষে হয়ে গিয়েছে গত মাসেই। তবে এবার অভিযোগের তিরে বোর্ডের মেডিক্যাল অফিসার।
জানা যাচ্ছে, গলা ব্যথা অনুভব করার পরেই তৎক্ষণাৎ ২৬ জুলাই ক্রুনাল পান্ডিয়া বিষয়টি জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা সফরে দলের সঙ্গে যাওয়া চিকিৎসক অভিজিৎ সালভিকে। তবে এমন উদ্বেগজনক উপসর্গ জানার পরেই চিকিৎসকের তরফে সংশ্লিস্ট ক্রিকেটারের আরটিপিসিআর টেস্ট তো বটেই আইসোলেশনেও পাঠানো হয়নি।
আরও পড়ুন: রাতারাতি বদলে যাচ্ছে ইন্ডিয়ার ট্রেনার, ফিল্ডিং কোচ! ক্রিকেটাররা আঁচও পেলেন না
শুধু তাই-ই নয়, এমন উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও ক্রুনাল পান্ডিয়াকে টিম মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। তারপরের দিন ২৭ জুলাই সকালে আরটিপিসিআর টেস্ট করা হয়। রিপোর্ট আসে সেদিন দুপুরে। পজিটিভ বেরোনোর পরেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড এবং বিসিসিআই যৌথ বিবৃতিতে একদিন খেলা পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে।
প্রাথমিকভাবে ক্রুনাল পান্ডিয়ার সংস্পর্শে আসা আটজনের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও শ্রীলঙ্কা ছেড়ে দেশে ফেরার ঠিক আগে কৃষ্ণাপ্পা গৌতম এবং যুজবেন্দ্র চাহালের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
আরও পড়ুন: সৌরভের সামনে লর্ডসে রাজকীয় সেঞ্চুরি ‘অন্য’ রাহুলের! নাকানিচোবানি খেল ইংরেজরা
শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বে এবং রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে ভারতীয় দল শ্রীলঙ্কা সফরে তিনটে করে ওয়ানডে এবং টি২০ খেলেছে। ওয়ানডে সিরিজ ভারত ২-১ ব্যবধানে জিতলেও, টি২০ সিরিজ হারতে হয়।
বোর্ডের এক কর্তা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, "ক্রুনালের ২৬ তারিখেই গলা ব্যথা শুরু হয়েছিল। প্রোটোকল মেনে ও দলের মেডিক্যাল আধিকারিককে বিষয়টি জানায়। তৎক্ষণাৎ ওঁর রাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা দরকার ছিল। সেই সঙ্গে আইসোলেশনেও পাঠানো উচিত ছিল। তবে আশ্চর্যজনকভাবে কিছুই করা হয়নি।"
সেই কর্তা আরও বলেছেন, "রাপিড এন্টিজেন টেস্ট অবশ্যই ভরসাযোগ্য নয়। তবে প্রোটোকল অনুযায়ী, এটা তো করাই যেত! তবে গলা ব্যথা নিয়েই ক্রুনাল টিম মিটিংয়ে হাজির ছিল। প্রশ্ন আরও উঠছে, কীভাবে, বোর্ডের মেডিক্যাল অফিসার পঞ্চম দিন অন্তর ক্রিকেটারদের টেস্টের বন্দোবস্ত করছিলেন। যেখানে আইপিএলে তিন দিন অন্তর টেস্ট করা হয়।"
আরও পড়ুন: লর্ডসে থামল বাঙালির কীর্তি! ঐতিহাসিক রেকর্ড চুরমার রোহিত-রাহুলের ব্যাটে
এখানেই না থেমে সেই বোর্ড কর্তা আরও জানাচ্ছেন, "ক্রুনাল পান্ডিয়া সহ দলের অধিকাংশ তারকাকে যখন আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছিল, তখন সিরিজ ক্যানসেল করার মুখে দাঁড়িয়েছিল। সচিব জয় শাহ-কে ধন্যবাদ যে উনি হস্তক্ষেপ করে সিরিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার থেকে বাঁচিয়েছেন। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডও নাহলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হত। দলের মেডিক্যাল টিম যদি একটু তৎপর হত, তাহলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে না।"
অভিযোগের কেন্দ্রে থাকা মেডিক্যাল অফিসার অভিজিৎ সালভির সঙ্গে পিটিআই-য়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, কোনও মন্তব্য করতে উনি রাজি হননি।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া সিরিজে মুনাফা কোটি কোটি! সৌরভদের কাছে কৃতজ্ঞতায় ঝুঁকল লঙ্কান বোর্ড
দলের প্ৰথম সারির নয় তারকাকে ছাড়া ভারতের একাদশ নামানোই একসময় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়েছিল। মাত্র চারজন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানকে নিয়ে খেলতে নেমে ভারত টি২০ সিরিজ বাঁচাতে পারেনি। কোভিড থেকে সেরে উঠে ক্রুনাল পান্ডিয়া, কৃষ্ণাপ্পা গৌতম এবং যুজবেন্দ্র চাহাল চলতি মাসেই দেশে ফিরেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন