ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভারতীয় ক্রিকেট দল জঙ্গি হানার সম্মুখীন হতে পারে, এই মর্মে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে পাঠানো ইমেল-কে ভুয়ো আখ্যা দিয়েছেন বিসিসিআই-এর এক শীর্ষকর্তা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে রবিবার সন্ধ্যায় ওই আধিকারিক জানান, "সমস্ত নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভুয়ো ইমেল পাঠানো হয়েছিল।"
এছাড়াও ওই বিসিসিআই কর্তা জানিয়েছেন, "আমরা অ্যান্টিগাতে হাইকমিশনকে জানিয়েছি, এবং তারা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর নজর রাখা হয়েছে, প্রয়োজনে যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো হবে। আপাতত নিরাপত্তা যা ছিল, তাই থাকছে।"
আরও পড়ুন, বিশ্বকাপের ফলাফলই সবথেকে হতাশাজনক, জানিয়ে দিলেন রবি শাস্ত্রী
শুক্রবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অফিশিয়াল ইমেল আইডিতে পৌঁছে গিয়েছিল বার্তা। যা দেখে চমকে গিয়েছিলেন পিসিবি কর্তারাও। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফররত ভারতীয় ক্রিকেট দল সম্ভাব্য জঙ্গি হানার মুখে। এমন বার্তা পেয়ে আর দেরি করে নি পিসিবি। সরাসরি সেই ইমেল ফরোয়ার্ড করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে। আইসিসি-র মাধ্যমেই বিসিসিআই পুরো ঘটনার বিষয়ে ওয়াকিবহাল হয়।
এমন ঘটনা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফররত জাতীয় দলের কাছে পৌঁছনোর পরেই হুলুস্থুল পড়ে যায়। বিসিসিআইয়ের তরফে সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেই সঙ্গে অ্যান্টিগা-র ভারতীয় দূতাবাসকে জানানো হয়। আপাতত অ্যান্টিগাতেই প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য রয়েছেন কোহলিরা। অ্যান্টিগার ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে তারপরে আবার যোগাযোগ করা হয় মহারাষ্ট্র ও মুম্বই পুলিশের সঙ্গে।
আরও পড়ুন, পূজারার সেঞ্চুরি, রোহিতের ফিফটি, প্রথম দিনে ভারত তুলল ২৯৭/৫
রবিবারেই বিসিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ভারতীয় ক্রিকেটারদের হত্যার হুমকি পাঠানো হয়েছে। বিসিসিআইয়ের সিইও রাহুল জোহরি রবিবার জানান, "আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। আন্টিগায় ভারতীয় দূতাবাসকেও পুরো বিষয়টি সম্পর্কে ব্রিফ করে দেওয়া হয়েছে। মুম্বই পুলিশকে গোটা ঘটনা জানিয়ে রাখা হয়েছে। ভারতীয় দলের নিরাপত্তার ওপর নজর রাখা হচ্ছে।"
আইসিসি যদিও এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয় নি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তা ওদিকে ভারতের এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, "পিসিবি নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায় না।"
Read the full article in ENGLISH