চুক্তি জট ইস্যু দ্রুতই সমাধান হতে চলেছে। এমন আবহেই ফের একবার তাল কাটল লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে। মহা সমারোহে লাল হলুদ তাঁবুতে ইস্টবেঙ্গল দিবস পালিত হলেও দেখা গেল না বিনিয়োগকারী সংস্থার কোনো প্রতিনিধিকে। যা নিয়ে রবিবারে ফের একপ্রস্থ চাপান উতোর।
ক্লাব সূত্রে ইস্টবেঙ্গলের তরফে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর দাবি করা হলেও বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফে জানানো হল, কোনো যোগাযোগই করা হয়নি ক্লাবের তরফে। তাই যাওয়ার প্রশ্নই নেই।
আরো পড়ুন: ১০ দিনের মধ্যেই ভবিষ্যৎ চূড়ান্ত ইস্টবেঙ্গলের, বলছেন ক্লাবের ‘ক্রাইসিস ম্যান’
লগ্নিকারী সংস্থার এখন যাবতীয় নজর মূল চুক্তিপত্রে সইয়ের ওপর। জানা গিয়েছে, সদস্য অধিকার, লোগো ব্যবহার, এক্সিট ক্লজ সমেত মোট পাঁচটি বিষয় নিয়ে মতানৈক্য ছিল। সেই বিষয়গুলি লিখিত আকারে বিশিষ্ট আইনজীবী পার্থসারথী সেনগুপ্তকে জানানো হয় ক্লাবের তরফে। শনিবারও ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার অনলাইনে আলোচনা সারেন ক্লাবের মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন সচিব পার্থসারথী সেনগুপ্তের সঙ্গে। তারপরেই পার্থসারথী সেনগুপ্ত বিষয়টি জানান লগ্নিকারী সংস্থাকে। আপাতত সমন্বয় রক্ষা করে এগোনো হচ্ছে দুই তরফে।
মূল চুক্তিপত্রে সামান্য কিছু বিষয় অদল বদল করে শিথিল হওয়ার বার্তা দেয় শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ। শনিবারই শ্রী সিমেন্টের তরফে যোগাযোগ করা হয় ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, পরিবর্তিত এক্সিট ক্লজে বলা হয়েছে, ইস্টবেঙ্গলের তরফে চুক্তিবিচ্ছেদ চাওয়া হলে শ্রী সিমেন্টকে শেয়ারের অর্থ দিতে হবে। চুক্তি বিচ্ছেদের ৩০ দিন আগে বিষয়টি জানাতে হবে শ্রী সিমেন্টকে। অন্যদিকে, শ্রী সিমেন্ট যদি সরে যেতে চায় তাহলে ইস্টবেঙ্গলকে বিনা অর্থেই শেয়ার ফিরিয়ে দেবে তাঁরা।
আরো পড়ুন: মাঠে নামার বার্তা দিয়ে বড় সিদ্ধান্ত শ্রী সিমেন্টের! কর্তার মন্তব্যে আশার আলো
চুক্তির পরেই বোর্ড গঠন করা হবে। ক্লাবের লোগো ব্যবহারের সময় সেই বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। বিনা অনুমোদন ছাড়া ক্লাবের লোগো কোনো পক্ষই ব্যবহার করতে পারবে না।
সদস্য সমর্থকদের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, ক্লাবে প্রবেশের ক্ষেত্রে মেম্বার্স কার্ড প্রয়োজন। তবে সাধারণ সমর্থকদের ক্ষেত্রে আগাম অনুমতিপত্র লাগবে। অন্যথায় ক্লাবে প্রবেশ করা যাবে না। বিনিয়োগকারী সংস্থার বক্তব্য, ক্লাবের পরিবেশ সুস্থ, স্বাভাবিক রাখার জন্যই এই নিয়ম জরুরি।
ইস্টবেঙ্গল দিবসে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে লগ্নিকারী সংস্থার তরফে জানানো হল, "ইস্টবেঙ্গল দিবস নিয়ে আমাদের আবেগ কম নয়। তবে আগে চুক্তি হোক, তারপরে দল গঠন করে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোই হবে ইস্টবেঙ্গল দিবসের আসল সার্থকতা।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন