সবকিছু পরিকল্পনা করাই ছিল। বিদেশিদের বায়োডেটা নিয়ে নড়াচড়া চলছিল। এখনো ফ্রি থাকা দেশি তারকাদের নজরে রাখা হচ্ছিল। তবে শুক্রবারের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ফের বিরতি। বিনিয়োগকারী সংস্থা আশাবাদী ছিল, জটিলতা কাটিয়ে চুক্তিপত্রে ইস্টবেঙ্গল সই করিয়ে দিলেই বিদেশিদের তড়িঘড়ি সই করিয়ে নেওয়া হবে। বায়োডেটা ঝাড়াই বাছাইয়ের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। তবে কার্যকরী কমিটির বৈঠকের পর ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা চুক্তিপত্রে সই করতে অসম্মত হওয়ার পরই দীর্ঘশ্বাস শ্রী সিমেন্টের অন্দরমহলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তিন পজিশনের জন্য বিদেশি ফুটবলার বাছাই চলছে ইস্টবেঙ্গলে- সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড, সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার এবং স্টপার। পিকলিংটন, ব্রাইট, স্টেইনম্যান সহ সমস্ত বিদেশিদের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলের। তাঁদের সঙ্গে চুক্তি দীর্ঘায়িত করার অবকাশ মেলেনি ক্লাবের অভ্যন্তরীণ চুক্তি জটিলতায়। দীর্ঘদিন ইস্টবেঙ্গলের তরফে সাড়া শব্দ না পেয়ে ব্রাইটরা সই করে দিয়েছেন বিদেশের ক্লাবে।
আরো পড়ুন: বিনিয়োগ করলেও মেধাস্বত্ত্বের অর্থ কোথায়! এক্সিট ক্লজ নিয়ে শ্রী সিমেন্টকে তোপ ইস্টবেঙ্গলের
শুক্রবারেই পিকলিংটনও ইংল্যান্ডের তৃতীয় ডিভিশনের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন। ব্রাইটের ঠিকানা হয়েছে কভেন্ট্রিতে। কোচ ফাউলারও ইংল্যান্ডে বসে ইস্টবেঙ্গলের প্রতি পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছেন। তাঁর সঙ্গে আরও একবছরের চুক্তি রয়েছে লাল হলুদ শিবিরের। তাঁকে এই মরশুমে চুক্তির একবছরের মাথায় ছেড়ে দিলে ক্ষতিপূরণ বাবদ বিশাল অর্থ খরচ করতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
আরো পড়ুন: টার্মশিটে সই করা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের! আরো অন্ধকারে ডুবে গেল ক্লাব
তাই এই মরশুমেও তাঁকে ডাগ আউটে রাখা হচ্ছে। বিদেশি ফুটবলারদের জীবনীপঞ্জী তিনিই দেখে যোগাযোগ রাখছেন বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে।
আরো পড়ুন: কলকাতা লিগে না খেললে কড়া শাস্তির মুখে ইস্টবেঙ্গল, এবার হুমকি আইএফএ-র
তবে শুক্রবারের পর আবার সেই অনিশ্চয়তা! লগ্নীকারী সংস্থার তরফে বলা হচ্ছে, তাঁরা প্রস্তুতই ছিলেন। সই হলেই দ্রুতগতিতে ফুটবলার সই করানো হত। তবে এখন শ্রী সিমেন্টের অন্দরমহলের বক্তব্য একটাই, আগে সই হোক, তারপর দলগঠন নিয়ে ভাবব!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন