বুধবার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ উপহার দিল আইপিএল। চলতি মরশুমের অন্যতম সেরা ম্যাচে কেকেআরকে ১৮ রানে হারাল সিএসকে। ওয়াংখেড়েতে বয়ে গেল চার-ছয়ের সুনামি। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে ৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল কেকেআর। তবে সহজে ম্যাচের রাশ ছাড়তে চাননি আন্দ্রে রাসেল। একাই খেলার মোড় কার্যত ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন।
ক্যারিবীয় তারকার ব্যাটে বিক্রম দেখল ভারতের বিশ্বকাপজয়ী স্টেডিয়াম। ২২ বলে ৫৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস উপহার দিলেন তিনি।রাসেলকে অন্য প্রান্তে যোগ্য সহায়তা করছিলেন দীনেশ কার্তিক। যে সময় মনে হচ্ছিল রাসেল কেকেআরকে চালকের আসনে বসিয়ে দেবেন, সেই সময়েই স্যাম কুরানের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে আউট হয়ে ফিরে যান তিনি।
আরো পড়ুন: টি-২০’তে মর্গ্যানের নেতৃত্ব পাতে দেওয়ার মত নয়! ‘কেকে হারের’ পরেই বিস্ফোরণ শেওয়াগের
আর রাসেলকে আউট করা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। মনে করছেন কেকেআরকে দু-বার আইপিএল ট্রফি দেওয়া গৌতম গম্ভীর। তাঁর মতে কুরানের ফিল্ড প্লেসিং পুরোটাই ছিল রাসেলকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য। "রাসেলকে দারুণভাবে ঠকিয়েছে কুরান। এমনভাবে ফিল্ড সেট করা হয়েছিল মনে হচ্ছিল কুরান ওয়াইড অফ স্ট্যাম্পে ফুল লেংথে বল করবে ও। কারণ তার আগের ওভারেও শার্দুল ঠাকুর একইভাবে বোলিং করে গিয়েছে। সেই বলের জন্যই প্রস্তুত ছিল রাসেল। তবে রাসেলকে চমকে দিয়েই লেগ স্ট্যাম্পে আক্রমণ করল কুরান। ও বল ছাড়তে বাধ্য হল, কারণ ওই বলের জন্য ও প্রস্তুতই ছিল না।" বলছেন গম্ভীর।
আরও পড়ুন: হরভজনকে পা ছুঁয়ে প্রণাম রায়নার! বেনজির দৃশ্য ওয়াংখেড়েতে, দেখুন মন ভাল করা ভিডিও
দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হওয়ার পরে রাসেল ডাগ আউটে ফেরার বদলে নিচে সিঁড়িতে হতাশ হয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। আর রাসেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে গম্ভীর বলে দিয়েছেন, "যে ভাবে ও বল হিট করছিল, তাতে ও ভালোই জানত, সামনের চার-পাঁচ ওভারে কোনো অফস্পিনারকে ওঁর সমানে আক্রমণে আনবে না ধোনি। একজনকে পিটিয়ে এক ওভারে ২৪ তুলেছিল। ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় ও নিশ্চয় হাত কামড়াচ্ছিল এটা ভেবে যে ও সেঞ্চুরি তো মিস করলই। সেই সঙ্গে ও ক্রিজে থাকলে হয়ত ১৬-১৭ ওভারের মধ্যেই খেলা ফিনিশ করে ফেলতে পারত।"
গম্ভীর আরো বলেছেন, "এরকম সুবর্ণ সুযোগ বারবার আসবে না। কারণ সবসময় ওয়াংখেড়েতে বারবার খেলা সম্ভব হবে না। ও নিশ্চয় অনুশোচনায় ভুগছে। ওই বল ও ঠিকঠাক ডিফেন্ড করতে পারলে কেকেআর হয়ত জিতেই মাঠ ছাড়ত।"
চার ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি জয় নিয়ে কেকেআর আপাতত লিগ তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন