হায়দরাবাদ: ১১৫/৮
কেকেআর: ১১৯/৪
ম্যাচ ছিল কার্যত ডু অর ডাই। সেই ম্যাচেই হায়দরাবাদকে দারুণভাবে হারিয়ে প্লে অফে ওঠার আশা জিইয়ে রাখল নাইট বাহিনী। দুবাইয়ে রবিবাসরীয় দ্বৈরথে কেকেআর ৬ উইকেটে হারিয়ে দিল প্রতিপক্ষকে। প্ৰথমে ব্যাট করে নাইট বোলারদের দাপটে মাত্র ১১৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কেকেআর ২ বল বাকি থাকতে হাতে ৬ উইকেট নিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল।
সামান্য টার্গেট তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদকে শুরুতে ম্যাচে রেখেছিলেন হোল্ডার এবং রশিদ খান। দুজনে ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং রাহুল ত্রিপাঠির মত ফর্মে থাকা দুই তারকাকে ফিরিয়ে বড়সড় ঝটকা দেন।
আরও পড়ুন: সৌরভ-জয় শাহ কোহলির অন্যায় সহ্য করবেন না! খোলাখুলি বিস্ফোরণ পাক তারকার
তবে তৃতীয় উইকেটে শুভমান গিল (৫১ বলে ৫৭) এবং নীতিশ রানা (৩৩ বলে ২৫) ৫৫ রানের পার্টনারশিপে দলের জয় নিশ্চিত করে দেন। এরপরে দুই তারকা কিছুক্ষণের ব্যবধানে ফিরে গেলেও নাইটদের জয় আটকায়নি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩ রান প্রয়োজন ছিল। সিদ্ধার্থ কৌল প্রথম তিন বলে দু রান খরচ করে বসেন। চতুর্থ বলে মর্গ্যান বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিনিশিং টাচ দেন।
তার আগে টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। প্রথম ওভারেই ঋদ্ধিমান সাহাকে ফিরিয়ে দেন সাউদি। তারপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি নাইট বোলারদের। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে নিজেদের বিশ্রী পারফরম্যান্সের ট্র্যাডিশন ধরে রাখে হায়দরাবাদ। মাঝে কিছুটা রান করে যান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (২৬), প্রিয়ম গর্গ (২১) এবং আব্দুল সামাদ (২৫)। বাকিরা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ।
আরও পড়ুন: মর্গ্যানকে বাদ দিক কেকেআর! জোড় হাতে শাহরুখের দলকে আর্জি তারকার
সাউদি, শিবম মাভি এবং বরুণ চক্রবর্তী দুটো করে উইকেট নিয়ে যান। দুবাইয়েই সাকিবকে অবশেষে নামিয়েছিল কেকেআর টিম সেইফার্টকে বসিয়ে। ফিরে আসার ম্যাচে সাকিব কোটার ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। উইকেট না পেলেও কৃপণতম নারিন। ৪ ওভারে খরচ করলেন মাত্র ১২ রান।
কেকেআর একাদশ:
ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শুভমান গিল, রাহুল ত্রিপাঠি, নীতিশ রানা, ইয়ন মর্গ্যান, দীনেশ কার্তিক, সাকিব আল হাসান, সুনীল নারিন, টিম সাউদি, বরুণ চক্রবর্তী, শিবম মাভি
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একাদশ:
জেসন রয়, ঋদ্ধিমান সাহা, কেন উইলিয়ামসন, অভিষেক শর্মা, প্রিয়ম গর্গ, আব্দুল সামাদ, রশিদ খান, জেসন হোল্ডার, ভুবনেশ্বর কুমার, সিদ্ধার্থ কৌল, উমরান মালিক
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন