আইপিএলের শুরুর ম্যাচেই হারতে হয়েছে সিএসকেকে। আর হারের পরেই ধোনিকে কার্যত খারাপ খবর শুনতে হল, কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের কাছে। প্রথম ম্যাচের মতোই দ্বিতীয় ম্যাচেও সিএসকে দুই বিদেশি পেসার লুঙ্গি এনগিদি এবং জেসন বেহরনডর্ফকে পাবে না।
আসন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য ফিট থাকতে চাইছেন অস্ট্রেলীয় জোশ হ্যাজেলউড। তাই তিনি একদম শেষ মুহূর্তে আইপিএল থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন। তাঁরই পরিবর্তে সই করানো হয়েছে জেসন বেহরনডর্ফকে। গত শুক্রবার বেহরনডর্ফের নাম সরকারিভাবে ঘোষণা করা হলেও এখনো তিনি ভারতে পা রাখেননি। এদেশে এসে বাধ্যতামূলক ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব সারতে হবে তাঁকে। তারপরেই দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়ে ম্যাচে নামতে পারবেন। অন্যদিকে প্রোটিয়াজ পেসার লুঙ্গি এনগিদি পাকিস্তান সিরিজের মাঝপথে ভারতে চলে এলেও এখনো কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ হয়নি।
আরো পড়ুন: পন্থের ‘গুরুমারা বিদ্যা’তেই কাত ধোনির চেন্নাই! ম্যাচের পরেই খোলসা করলেন ধাওয়ান
ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে সিএসকে কোচ ফ্লেমিং জানিয়ে দিয়েছেন, "এনগিদির কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ পরের ম্যাচে আগে শেষ হবে না। তাই বোলিং অপশনের কথা বিবেচনা করলে জোশ হ্যাজেলউডকে হারানো একটা বড়সড় ধাক্কা আমাদের কাছে। এনগিদি দলের সঙ্গে দ্রুত যোগ দেবেন। বেহরনডর্ফও তারপর আসছেন। এই জায়গায় আমাদের খামতি রয়ে গিয়েছে। এখনো আমাদের ভরসা রয়েছে ভারতীয় বোলারদের ওপর। বিদেশি বোলারের কোটায় রয়েছে স্যাম কুরান। তবে ওদের কাছে আমাদের আরো প্রত্যাশা রয়েছে।"
আরো পড়ুন: ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা ধোনির! নিয়ম ভাঙতেই বড় শাস্তির মুখে মহাতারকা
প্রথম ম্যাচে স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মত রান খাড়া করলেও দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শ এবং শিখর ধাওয়ানকে কোনো সিএসকে বোলারই বিব্রত করতে পারেননি। ডোয়েন ব্র্যাভো, শার্দুল ঠাকুর থেকে মঈন আলি- সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। দিল্লি ইনিংসে একজন জোরে বোলারের অভাব বেশ অনুভূত হয়েছে। ধোনিও ম্যাচের পরে স্বীকার করে নিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলাররা বল করতে পারেননি।
ম্যাচের পরে সুরেশ রায়নার দুরন্ত ইনিংসের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। তিনি বলেছেন, "যেভাবে সম্পূর্ণ ক্রিকেটের বাইরে চলে গিয়েছিল, সেখান থেকে যা ইনিংস ও খেলল, তাতে প্রশংসা ওঁর প্রাপ্য।" গত মরশুমে ব্যক্তিগত কারণে সিএসকে স্কোয়াড থেকে রায়না সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তারপরে সিএসকে রিটেন করেছিল রায়নাকে। আর প্রথম ম্যাচেই ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে আগুনে মেজাজে পাওয়া গেল রায়নাকে।
আরো পড়ুন: ধোনিকে কাঁধে হাত রাখতে দিও না! পন্থকে তোলপাড় করা পরামর্শ গাভাসকারের
দিল্লির বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে দুই ওপেনারকে খুইয়ে ফেলে সিএসকে। ৭/২ হয়ে যাওয়ার পরে মঈন আলি, সুরেশ রায়না এবং একদম শেষের দিকে স্যাম কারেনের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় হলুদ জার্সির দল। এটাই পজিটিভ ইঙ্গিত, বলে দিচ্ছেন ধোনিদের কিউয়ি কোচ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন