কৃষক বিদ্রোহের প্রভাব পড়ল এবার ভারতের খেলাতেও। কৃষকরা আইপিএল ম্যাচে বিক্ষোভ দেখাতে পারে, সেই ইঙ্গিত পেয়েই এবার আইপিএলের সম্ভাব্য ভেন্যু তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মোহালিকে। বোর্ডের যুক্তি, স্টেডিয়ামের বাইরে কৃষকরা আন্দোলন করতে পারে। তখন বিশ্ব মিডিয়ায় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে!
এদিকে, কোভিড পরিস্থিতির কারণে মুম্বইয়ের অবস্থা মনিটর করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বোর্ডের তরফে এখনো পর্যন্ত কলকাতা, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ে ম্যাচ আয়োজনের ভেন্যু হিসাবে শর্টলিস্ট করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: আইপিএলে সম্মান দেওয়া হয় না! পাকিস্তানে বসে ভারতের চরম দুর্নাম স্টেইনের
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, "আইপিএলের ম্যাচ হচ্ছে, এদিকে স্টেডিয়ামের দিকে কৃষকরা মার্চ করে অগ্রসর হচ্ছেন, এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে আমরা কেউই চাই না। এতে গোটা বিশ্ব মিডিয়ায় দৃষ্টি এদিকে পড়বে। এমন পরিস্থিতি উদ্ভব ঘটুক, আমরা কেউই চাইছি না। উত্তর ভারতে মোহালি এখনো পর্যন্ত শর্টলিস্টেড ভেন্যুর মধ্যে নেই।"
নাম বদলানো পাঞ্জাব কিংস তাই এবার মোহালিতে ম্যাচ খেলতে পারবে না। একই কারণে কৃষক বিদ্রোহের কথা মাথায় রেখে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ম্যাচও ফেলা হয়নি। বিসিসিআইয়ের আধিকারিক বলছেন, "পাঞ্জাব বাদ দিয়ে বাকি সব ভেন্যুই আমরা পর্যালোচনা করছি। নির্বাচনের কারণে আরো কিছু অদলবদল হতে পারে।"
আরো পড়ুন: বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে! এখন বাস চালিয়ে পেট চালান
এদিকে, মোহালিকে ভেন্যু তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার খবর মোটেই ভালোভাবে নেননি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তিনি টুইট করে বলে দিয়েছেন, "বিসিসিআই এবং আইপিএলের কাছে অনুরোধ করছি যেন মোহালিকে ভেন্যু হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বুঝতে পারছি না মোহালিতে কেন আইপিএল আয়োজন করা যাবে না। কোভিড নিরাপত্তার জন্য পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
মঙ্গলবারই আবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের তরফে বোর্ডকে ইমেল পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন মোহালিযে বাদ রাখা হচ্ছে। পাঞ্জাব কিংসের অন্যতম মালিক নেস ওয়াদিয়া বলে দিয়েছেন, কোভিড সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও মোহালিকে ভেন্যু তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। ওয়াদিয়া পিটিআইকে বলেছেন, "বোর্ডের কাছে লিখিতভাবে আমরা জানতে চেয়েছি, কোন কারণে ভেন্যু বাছাই করা হয়েছে। মোহালিকে বাদ-ই বা দেওয়া হল কেন! পাঞ্জাবে ম্যাচ আয়োজনের বিষয়ে আমরা আশাবাদী ছিলাম।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন