পুরোপুরি এন্টি-ক্লাইম্যাক্স! খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন রাসেল। আর ক্যারিবীয় সুপারস্টারকে আউট করে ম্যাচে অঘটন ঘটা বন্ধ করে দেন। স্যাম কুরান বুধবারেই আরো একবার নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করে দিয়েছেন। বল হাতে প্যাট কামিন্সের হাতে বেধড়ক মার খেলেও রাসেলকে আউট করে ম্যাচের গতিপথই বদলে দেন জিম্বাবুয়ে জাত ইংরেজ ক্রিকেটার।
বুধবার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কেকেআরকে ১৮ রানে হারাল সিএসকে। ওয়াংখেড়েতে বয়ে গেল চার-ছয়ের সুনামি। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে ৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল কেকেআর। তবে সহজে ম্যাচের রাশ ছাড়তে চাননি আন্দ্রে রাসেল। একাই খেলার মোড় কার্যত ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন।
আরো পড়ুন: ১৬ ওভারেই ম্যাচ জিতিয়ে দিত রাসেল, বিশ্বাস করেন দু-বারের আইপিএল জয়ী ক্যাপ্টেন
ক্যারিবীয় তারকার ব্যাটে বিক্রম দেখল ভারতের বিশ্বকাপজয়ী স্টেডিয়াম। ২২ বলে ৫৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস উপহার দিলেন তিনি।রাসেলকে অন্য প্রান্তে যোগ্য সহায়তা করছিলেন দীনেশ কার্তিক। যে সময় মনে হচ্ছিল রাসেল কেকেআরকে চালকের আসনে বসিয়ে দেবেন, সেই সময়েই স্যাম কুরানের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে আউট হয়ে ফিরে যান তিনি।
এমনভাবে ফিল্ড সেট করা হয়েছিল মনে হচ্ছিল কুরান ওয়াইড অফ স্ট্যাম্পে ফুল লেংথে বল করবে। কারণ তার আগের ওভারে শার্দুল ঠাকুরও একইভাবে বোলিং করে গিয়েছে। সেই বলের জন্যই প্রস্তুত ছিল রাসেল। তবে রাসেলকে চমকে দিয়েই লেগ স্ট্যাম্পে আক্রমণ করল কুরান। আর স্ট্যাম্প নড়ে যেতেই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে সিএসকে।
আরো পড়ুন: টি-২০’তে মর্গ্যানের নেতৃত্ব পাতে দেওয়ার মত নয়! ‘কেকে হারের’ পরেই বিস্ফোরণ শেওয়াগের
কুরানের এই বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের পিছনে কি ধোনির মস্তিষ্ক? ম্যাচের শেষে এই প্রশ্ন ভেসে আসতে নিজেই জবাব দিলেন, "এখানেই খেলার সৌন্দর্য। মাঠে সফল হলেই সবাই বলাবলি শুরু করে দেয়, ওটা পরিকল্পনা মাফিক ছিল। একই ভাবে কুরানের বলের ক্ষেত্রেও এমনটা বলা হচ্ছে। কারণ আমরা অনেক ওয়াইড অফস্ট্যাম্পে ফুল লেন্থ বোলিং করেছি। সত্যি কথা বলতে ওটা মোটেই আগে থেকে প্ল্যান করা ছিল না।"
সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২২ বলে ৫৪ রান। ছয় ছক্কা সহযোগে। ধোনি মজা করে বলছেন, "ও জন্যই শুরুর দিকে সাততাড়াতাড়ি বেশি উইকেট নিতে নেই। কারণ তারপরেই বিগ হিটাররা আসবে। স্কোরবোর্ডে ২০০ রাব থাকলে যেভাবে খেলা উচিত, সেভাবেই রাসেল খেলেছে। ওর সামনে কিছু করার থাকে না। একমাত্র অপশন ছিল জাদেজা।"
আরও পড়ুন: হরভজনকে পা ছুঁয়ে প্রণাম রায়নার! বেনজির দৃশ্য ওয়াংখেড়েতে, দেখুন মন ভাল করা ভিডিও
এরপরে ধোনির আরো সংযোজন, “এমন ম্যাচে শান্ত থাকাটা বেশ সহজ। কারণ ১৫-১৬ ওভারের পর লড়াইটা গিয়ে দাঁড়িয়েছিল বোলারদের সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের। তাই আমাকে বেশি কিছু করতে হয়নি। যাঁরা নিজেদের ভালো ভাবে প্রকাশ করতে পেরেছে তারাই এই ম্যাচে জয়লাভ করেছে। তবে ওদের হাতে যদি উইকেট থাকত ব্যাপারটা অন্যরকম হত। ২০ ওভার ওঁরা পুরো ব্যাট করলে কী হত, বলা মুশকিল।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন