আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু প্রত্যেক বছরেই আকাশ ছোঁয়া সীমানা নির্ধারণ করে দিচ্ছে। আইপিএল শুরুর আগে বোর্ড সচিব জয় শাহ জানিয়ে দিলেন, আসন্ন টুর্নামেন্টে স্পনসরশিপ বাবদ বিসিসিআইয়ের কোষাগারে ঢুকবে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্ৰথমবারের মত বেগুনি এবং কমলা টুপিও স্পনসরশিপের আওতায়। আসন্ন আইপিএলের জন্য বিসিসিআইয়ের তরফে আরও নয়টি নতুন স্লট ঘোষণা করা হয়েছে।
ইনসাইড স্পোর্টস-কে বোর্ড সচিব জয় শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, স্রেফ স্পনসরশিপ থেকেই বোর্ডের আয় ১০ হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাবে। আইপিএলের ১৫ বছরের ইতিহাসে স্রেফ স্পনসরশিপ থেকে এত টাকা উপার্জন আগে করতে পারেনি বোর্ড।
আরও পড়ুন: বোর্ডের বোকা বোকা নিয়মই দায়ী! আইপিএলের আগে BCCI-কে ঝাঁঝালো আক্রমণ শাস্ত্রীর
শাহ বলেছেন, "আইপিএল ব্র্যান্ড হিসাবে কোন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই বিষয় থেকেই পরিষ্কার। নতুন স্পনসরশিপ প্রাপ্তিতে আমরা দারুণ খুশি। এই বছরেই আমরা সর্বোচ্চ স্পনসরশিপ চুক্তি আদায় করতে চলেছি। কোনও এক মরশুমে এই প্ৰথমবার আইপিএলে স্পনসরশিপ বাবদ অঙ্ক ১০ হাজার কোটির গন্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে।"
স্পনসরশিপ বাদ দিয়ে মিডিয়া স্বত্ত্ব বাবদও বিপুল আয় হতে চলেছে বোর্ডের। ক্রিকেট মহলের অভিমত সবমিলিয়ে আইপিএলের ভ্যালুর পরিমাণ ৪৫০০০ কোটি টাকার বেশি। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে জয় শাহ জানিয়েছেন, এত বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশে ক্রিকেট প্রসারে সাহায্য করবে। দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
আরও পড়ুন: IPL-এর আগে আগুনে ফর্মে নটরাজন, ভেঙে চুরমার করলেন স্ট্যাম্প, দেখুন ভিডিও
"আইপিএলের মত একটা বিরাট ব্র্যান্ডের যথার্থ মূল্যতা প্রমাণ করা আমাদের অগ্রাধিকার। সেই সঙ্গে আমরা গোটা বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে বদ্ধপরিকর। এই কারণেই মিডিয়া রাইটস ই-নিলামের মাধ্যমে বাছাই করা হবে। এর থেকেই স্পষ্ট লিগের জনপ্ৰিয়তা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। দুই নতুন দলের সংযোজনে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ নিয়ে ইনভেস্ট করেছে।" জানিয়েছেন শাহ।