রাজস্থান রয়্যালস বনাম গুজরাট টাইটান্স ম্যাচ অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকল মঙ্গলবারে। ইডেন গার্ডেন্সে প্ৰথম কোয়ালিফায়ারে খেলতে নেমেছিল দুই দল। সেই ম্যাচেই রাজস্থান ইনিংসের শেষ ওভারের মোট তিনটি ফাইনাল ডেলিভারি করা হয়। এর মধ্যে একটি ছিল বৈধ। আর সেই সময় পরপর দু বলে জোড়া রান আউটে মত চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল। আর এই রান আউটের পরে রিয়ান পরাগ রীতিমত হতাশা প্রকাশ করলেন অশ্বিনের উদ্দেশ্যে। নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজস্থান স্কোরবোর্ডে ১৮৮/৬ তুলেছিল।
জস বাটলার রাজস্থান ইনিংসকে টানছিলেন। তবে শেষ ওভারে ইয়াশ দয়ালের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে ব্যর্থ হয়ে দুটো রানের জন্য কল করেছিলেন নন স্ট্রাইকিং এন্ডের ব্যাটসম্যানকে। দয়ালের ফুল লেংথের ডেলিভারি লং অনে পাঠান বাটলার। তবে ফিল্ডার উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহার প্রান্তে বল থ্রো করেন। সঠিক সময়ে ক্রিজে পৌঁছনোর আগেই রান আউট হয়ে যান বাটলার।
আরও পড়ুন: অশ্বিনের বলের গতি উঠল ১৩১ কিমিতে! শোয়েবের রেকর্ডও কি ভেঙে দেবেন তারকা স্পিনার।
সেই বলটি ওভারস্টেপের কারণে নো বল ছিল। তাই ওভারের শেষ বলে তখনও করতে হত ইয়াশ দয়ালকে। রিয়ান পরাগ ক্রিজে নামেন বাটলার আউট হওয়ার পরে। সেই বলে ইয়াশ দয়াল ওয়াইড বল করে বসেন। তবে রান নেওয়ার তাগিদে রিয়ান পরাগ ক্রিজের মাঝপ্রান্তে পৌঁছে যান। ঋদ্ধিমান সাহা সেই বল সংগ্রহ করে তৎক্ষণাৎ বোলারের কাছে বল পাঠিয়ে দেন। এতেই রান আউট হয়ে যান রিয়ান পরাগ। আউট হয়ে পরাগ অন্যদিকে থাকা অশ্বিনের ওপর প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন।
যাইহোক, শেষ বলে অশ্বিন দু-রান নিয়ে দলকে ১৮৮ পর্যন্ত পৌঁছে দেন। রাজস্থা লেন ব্যাটিংয়ের নায়ক জস বাটলার। প্ৰথম ৩৯ রান করতে ৩৮ বল নিয়ে ফেলেছিলেন তারকা ইংরেজ। হার্দিক পান্ডিয়া লং অফে বাটলারের ক্যাচ মিস করে বসেন। সেই লাইফলাইন পেয়ে সংহার মূর্তি ধরেন তারকা ব্যাটার। পরের ১৭ বলে ৪৬ তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সৌরভের বাড়িতে হঠাৎ রজনী-কন্যা ঐশ্বর্য! শীঘ্রই কি বড় সুখবর দেবেন মহারাজ
ম্যাচের শেষে রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন বলে দিলেন, দলের রানে তিনি সন্তুষ্ট। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যাট করা তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে গিয়েছিল। “উইকেটে সামান্য চটচটে ভাব ছিল। তবে এরকম স্কোর তুলতে পারায় আমরা সন্তুষ্ট। পাওয়ার প্লে-তে বল ভালোরকম সুইং হচ্ছিল। এরকম অবস্থায় এরকম টোটাল খারাপ নয়। তবে ওঁরা দারুণভাবে রান চেজ করেছে।”
ষষ্ঠ বোলারের কোটায় রিয়ান পরাগকে ব্যবহার করেননি ক্যাপ্টেন সঞ্জু। নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাখা দিতে গিয়ে সঞ্জু স্যামসন বলে যান, “রিয়ান পরাগ দলের জন্য সবসময় কার্যকরী। তবে আমার মনে হয়েছে, দ্বিতীয়ার্ধে ব্যাট করা খানিক সহজ হয়ে গিয়েছিল। বল ব্যাটে দারুণভাবে আসছিল। ধারাবাহিকভাবে আমরা ভালো খেলেছি। তবে বেশ কিছু অসংলগ্ন ওভার, এক্সট্রা রান, হঠাৎ করে ছন্দ হারিয়ে ফেলা বোলার সমস্যায় ফেলে দিল আমাদের। ফিরে এসে আমরা আবার দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দেব।”
“এই ফরম্যাটে ভাগ্য (টস) বড়সড় ফ্যাক্টর হয়ে যায়। সমস্ত পরিকল্পনায় এগুলো প্রভাব ফেলে। আশা করি পরের ম্যাচে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলব।”