শ্রী সিমেন্টের পর ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগকারী হিসাবে আবির্ভাব ঘটেছে ইমামির। ইমামি ইস্টবেঙ্গল গত কয়েক বছরের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে নতুন করে দলকে সাফল্যের রাস্তায় নিয়ে যেতে উদগ্রীব। ভারতীয় ফুটবল হাতের তালুর মত চেনা স্টিফেন কনস্টানটাইনকে কোচ করে আনা হয়েছে। বিদেশি বাছাইয়েও জোর দেওয়া হয়েছে এমন তারকাদেয় যাদের ভারতীয় ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। লাল-হলুদের পাঁচ বিদেশির মধ্যে চারজনই এশীয় এবং ভারতীয় ফুটবলে অভিজ্ঞ।
এর মধ্যেই আসন্ন মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের ট্রাম্প কার্ড হয়ে উঠতে পারেন ৩৫ বছরের ক্লেইটন সিলভা। লাল-হলুদে এবার আক্রমণভাগে জুটি বাঁধবেন ক্লেইটন সিলভা-এলিয়ান্দ্র। ক্লেইটনের ওপরে অবশ্য স্টিফেন কনস্টানটাইনের ভরসা করার অনেক জায়গা থাকছে।
আরও পড়ুন: বাগানে বড় দুঃসংবাদ! হ্যামিল সহ চার তারকাকে নিয়ে ঘুম উড়ল কোচ ফেরান্দোর
ক্লেইটনের কেরিয়ারের অধিকাংশ সময়ই কেটেছে তাই লিগে একাধিক ক্লাবে খেলে। সাও পিইদাদে থেকে বেড়ে ওঠা ক্লেইটনের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল মাদুরেইরার হয়ে। মাদুরেইরার যুব দল থেকে ক্রমান্বয়ে উত্থান ঘটেছিল সিনিয়র দলে। রিও ডি জেনেইরোর বিখ্যাত এই ক্লাবের হয়ে ৩৭ ম্যাচে ১৫ গোল রয়েছে তারকার। মাদুরেইরার পরে ক্লেইটন সই করেন অস্টপার হয়ে। এক মরশুমে সেখানেও গোলের বন্যা বইয়ে ১০ গোল তাঁর নামের পাশে।
তবে ক্লেইটনের কেরিয়ার শীর্ষে ওঠে ২০১২-য়। যেবার তিনি বেক তেরো সাসানায় যোগ দেন। যে ক্লাবকে হারিয়ে ২০০৩-এ ইস্টবেঙ্গলের গর্বের আশিয়ান জয়, সেই বেক তেরো সাসানা-য় ক্লেইটন যোগ দেন প্রায় এক দশক পরে। কোচ এন্ড্রু ওর্ড তিন বছরের জন্য তারকা ব্রাজিলীয়কে সই করান থাই ক্লাবে। প্ৰথম মরশুমেই ক্লেইটন ২৪ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতে নেন থাই লিগে। বেক তেরো সাসানার জার্সিতেই ২০১৩-য় মার্চের সেরা প্লেয়ার এবং বর্ষসেরা স্ট্রাইকারের পুরস্কার পান।
এর পরে মেক্সিক্যান লিগে ডেলফিনসের হয়ে অল্প কিছুদিন খেলার পরে ফের ফিরে আসেন থাই লিগে। ২০১৪-য় দ্বিতীয় ট্রান্সফার উইন্ডোতে সিলভা নাম লেখান মুয়াংথং ইউনাইটেডের হয়ে। লিগের অর্ধেক খেলেই তিনি হ্যাটট্রিক সহ মোট পাঁচ গোল করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলে ফ্লপ চিমা ফের ISL-এ! দু-বছরের বিরাট চুক্তিতে সই চ্যাম্পিয়ন দলে
এরপরে থাই লিগে চিয়ানগ্রাই ইউনাইটেড, সুফানবুরিতেও খেলতে দেখা গিয়েছে ব্রাজিলীয় তারকাকে। থাই লিগে প্ৰথম বিদেশি স্ট্রাইকার হিসাবে একশো গোলের কৃতিত্বও ক্লেইটন সিলভার দখলে। চিনা সুপার লিগে সাংহাই শেনজিনের হয়েও খেলে এসেছেন এক মরশুম।
ইস্টবেঙ্গলে চলতি মরশুমে নাম লেখানোর আগে সিলভা দুই মরশুম খেলেছেন বেঙ্গালুরু এফসিতে। ৩৩ ম্যাচে যেখানে তাঁর গোলসংখ্যা ১৪টি। সবমিলিয়ে বিভিন্ন দেশের লিগে সমস্ত টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ২৫৫ ম্যাচে ক্লেইটন ১৬১ গোল করেছেন।
সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসাবে খেললেও এর আগে একাধিক বার উইংয়েও খেলেছেন তিনি। কনস্টানটাইন একাধিক পজিশনে খেলতে দক্ষ তারকাকে কীভাবে দলের ফর্মেশনে ফিট করান, সেটাই আপাতত দেখার।