Mohun Bagan Super Giant vs Kerala Blasters: আইএসএলের লিগশিল্ড জেতার একদম ফিনিশিং পর্যায়ে পৌঁছে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শনিবার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তারা কেরালা ব্লাস্টার্স এফসিকে ৩-০ গোলে পরাজিত করল। মোহনবাগানের হয়ে ম্যাচের ২৮ এবং ৪০ মিনিটে গোলদুটি করেছেন জেমি ম্যাকলারেন। ম্যাচের ৬৬ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ান আলবার্তো রডরিগেজ।
তবে, কাজের কাজটা মোহনবাগান করলেও কেরালা ব্লাস্টার্স কিন্তু দুর্দান্ত লড়াই করেছে। ম্যাচে ৬৭ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল কেরালার খেলোয়াড়রা। তারা মোহনবাগানের থেকে পাসও খেলেছে দ্বিগুণেরও বেশি। ঠিকঠাক পাসও মোহনবাগানের খেলোয়াড়দের থেকে বেশি দিয়েছে। আবার, গোল খেয়ে মাথা গরম করেছে ফাউলও করেছে মোহনবাগানের থেকে বেশি, ১০ বার।
কিন্তু, এতকিছুর পরও আসল কাজটা করে গিয়েছেন বাগানের বিদেশি স্ট্রাইকাররাই। তাঁরা কেরলের থেকে বেশিবার বিপক্ষের গোলমুখে শট নিয়েছেন। তাঁদের ঠেকাতে গিয়ে কর্ণারও হয়েছে বারবার। এই ম্যাচে মোহনবাগান মোট ৬ বার কর্ণার পেয়েছে। ম্যাচে চার জন খেলোয়াড় বদলেছে মোহনবাগান। কোলাকো, কামিংস, টাংরিদের বদলে নামানো হয়েছে দিমিত্রি, অভিষেক সূর্যবংশী, সুহেল ভাট, আশিক কুরুনিয়ানকে।
কেরল এই ম্যাচে পাঁচ জন খেলোয়াড়কে বদলেছে। থিঙ্গুজম, ফারুক ভাট, পেপরাহর বদলে নামানো হয়েছিল বিবিন মোহানন, মহম্মদ আইমেন, ইশান পাণ্ডিতাদেরকে। ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেছেন শুভাশিস বোস। কেরলের দেখেছেন রুইভা হরমিপাম। জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের এই ম্যাচের পরের দিকে কেরলের আক্রমণ রুখতে মাঝমাঠে জোর বাড়ানোর চেষ্টা করেন মোহনবাগান কোচ মোলিনা।
আরও পড়ুন- বঙ্গবন্ধু-র প্রতি বিদ্বেষ! ঢাকা স্টেডিয়ামের নাম বদলাল ইউনুসের সরকার
এই ম্যাচ জয়ের ফলে ২১ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট দাঁড়াল ৪৯। দ্বিতীয় স্থানে এফসি গোয়া রয়েছে ২০ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্টে। তৃতীয় স্থানে থাকা জামশেদপুর ফুটবল ক্লাবের ২০ ম্যাচে পয়েন্ট ৩৪। চতুর্থ স্থানে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেডের ২১ ম্যাচে পয়েন্ট ৩২। বেঙ্গালুরুর ২০ ম্যাচে পয়েন্ট ৩১। মুম্বই সিটির ২০ ম্যাচে পয়েন্ট ৩১। ওড়িশার ২১ ম্যাচে পয়েন্ট ২৯। কেরালা ব্লাস্টার্সের ২০ ম্যাচে পয়েন্ট ২৪। পঞ্জাব এফসিরও ২০ ম্যাচে পয়েন্ট ২৪। চেন্নাইনের ২১ ম্যাচে পয়েন্ট ২৪। ইস্টবেঙ্গলের ১৯ ম্যাচে ১৮। হায়দরাবাদ এফসির ২০ ম্যাচে ১৬। মহামেডান আছে সবার শেষে। তাদের পয়েন্ট ১৯ ম্যাচে ১১। রবিবার মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল আর মহামেডান ক্লাব।