কোনওভাবেই এই হিংসা বরদাস্থ করা সম্ভব নয়! এমন ভাষাতেই এবার মুখ খুললেন ইরফান পাঠান। অবসর নিয়েছেন দু-দিন আগেই। হ্যাংওভার এখনও কাটেনি। অবসরের পরে মুখ খুললেন এবার জেএনইউ কাণ্ডে। পাঠানের সুরেই সুর মিলিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। এতে অস্বস্তি আরও বেড়েছে কেন্দ্রীয় শাসকদলের। কারণ গোটা ঘটনার অভিযোগের তির বিজেপি-র ছাত্র সংঘঠন এবিভিপির দিকে।
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রবিবার সন্ধ্যায় ছড়িয়ে পড়েছিল হিংসার আগুন। যার ফলে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন ছাত্র সংসদ সভাপতি ঐশী ঘোষ। সূত্রের খবর, আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকেই, যদিও সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। বেশ কিছু আহতকে ভর্তি করা হয় এইমস-এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। হামলার নিশানায় ছিলেন বেশ কিছু অধ্যাপকও।
তারপরেই দেশজোড়া প্রতিবাদ শুরু হয়। যাদবপুর সহ বেশ কিছু এলিট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে।
এর মধ্যেই মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ গম্ভীর। তিনি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখেন, "বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে এমন হিংসা দেশের স্পিরিটের পরিপন্থী। ছাত্রদের মতাদর্শ যাই হোক না কেন, এভাবে আক্রমণ করা উচিত নয়। যে গুন্ডারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের কড়া শাস্তি দিতে হবে।"
পাঠান আবার সরাসরি লিখে দিয়েছেন, "গতকাল জেএনইউ-তে যা ঘটেছে এটা মোটেই নিয়মিত ঘটনা নয়। বিশ্ববিদ্য়ালয় ক্যাম্পাস, হোস্টেলের মধ্যেই ছাত্রদের আক্রমণ করেছে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। এটা মোটেই দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে না।"
একইভাবে টুইটারে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলার ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি থেকে জ্বালা গাটা, রোহন বোপান্নারাও।
Read the full article in ENGLISH