ফের ভারতীয় ক্রিকেটে গড়াপেটার থাবা। কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগে গড়াপেটার অভিযোগে বেঙ্গালুরু পুলিশের সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেফতার করল বেলাগামি প্যান্থার ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক আলি আশফাক থারাকে। অগাস্টে সমাপ্ত হওয়া কেপিএলে গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তারপরেই তদন্তে নামে কর্ণাটক পুলিশ। সেই তদন্তের পরেই ধৃত ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক। একটি বেসরকারি ট্র্যাভেল এজেন্সি চালান আলি আশফাক। ২০১৭ সালে বেলাগাভি প্যান্থার্স দলের মালিকানা কেনেন তিনি। তবে তাকে সন্দেহভাজনদের তালিকায় রেখে কিছুদিন ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। আলির পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, একাধিক দলের কোচ, প্লেয়ারদের।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কেপিএলের ম্যাচে গড়াপেটার পক্ষে এখনও প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে টস, ব্যাটিং অর্ডার, নো এবং ওয়াইড বল সহ বেশ কিছু ইভেন্টের ক্ষেত্রে গড়াপেটা হয়ে থাকতে পারে, এমনটাই বলছেন তদন্তকারীরা।
সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছেন, কেপিএলের কমপক্ষে ১২জন ক্রিকেটার আলির সঙ্গে গড়াপেটার বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে গিয়েছে। বিসিসিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখার তরফে সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চকে টুর্নামেন্টের গড়াপেটার বিষয়ে ইনপুটস দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই তদন্তে নামে সিসিবি।
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আলি আশফাকের দুবাইতেও ব্যবসা রয়েছে। তবে কেপিএলে দল কেনার পরেই তার ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠে। দুবাইতে যাতায়াতের সূত্রেই আলির সঙ্গে যোগাযোগ হয় এক ক্রিকেট বুকি-র। তার মাধ্যমেই গড়াপেটা চালাতেন আলি। সেই বুকির খোঁজে রয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। কয়েক বছর আগে শ্রীলঙ্কায় আন্তঃঅ্যাকাডেমি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিলেন। কেপিএলে নিজের ফ্র্য়াঞ্চাইজির প্রমোশনও করেছিলেন তিনি পড়শি দ্বীপরাষ্ট্রে। কেপিএল চলাকালীন অনলাইনে একটি ম্যাচের ফিক্সড ইভেন্টস এবং ম্যাচ শুরুর আগেই ফলাফল জানিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে হোয়্যাটসঅ্যাপের একটি নির্দিষ্ট গ্রুপে সংশ্লিষ্টদের সাইন আপ করতে বলা হত।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেই চ্যাম্পিয়ন হয় বেলাগাভি প্যান্থার্স। সেই সময় এই দলের সবথেকে হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটার ছিলেন মণীশ পাণ্ডে।
Read the full article in ENGLISH